সেখ বিল্লি ও সেখ নবির “”ত্রাসের”” বিরুদ্ধে বিজেপির আন্দোলন

দুর্গাপুর, ২৩ জুলাই: একদিকে নিউটাউনশীপ থানা এলাকায় শাসকদলের দুই কর্মী সেখ নবি ও সেখ বিল্লি এলাকার “” ত্রাস””হয়ে একাধারে সমস্ত বে-আইনি কাজ চালাচ্ছে আর অন্যদিকে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে বিজেপির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা ঘেরাও করা হয়। এর পাশাপাশি আগামীকাল দুর্গাপুরে হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে জমায়েতের ডাক দেয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার শেখ শাজাহান হয়ে ওঠা শেখ নবী এবং শেখ বিল্লি যথেচ্ছাচার চালাচ্ছে এই এলাকায়। বেআইনি সাট্টা ব্যবসা থেকে, মদের ঠেক চালানোর অভিযোগ “”শাসকদলের মদতপুষ্ট “”এই দুজনের বিরুদ্ধে। চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বলেন,”” একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে এই দুই দুষ্কৃতী। অথচ পুলিশ এদের বিরুদ্ধে নির্বিকার। পুলিশকে মোটা টাকা মাসোহারা দিয়ে এরা বেআইনি কাজ চালাচ্ছে বলেও এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে।””

যদিও এর বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট দাবি করে বলেন, “”বিজেপি শোচনীয় পরাজয়ের পর এখন বাজার গরম করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বকালে এমন অরাজকতা কোথাও সহ্য করবেন না রাজ্য সরকার এবং রাজ্য প্রশাসন। এখানে সমস্ত নাগরিকরা সুরক্ষিত আছেন। বিজেপির হাতে কোন হাতিয়ার নেই প্রচারের। তাই পাগলেরা প্রলাপ বকতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। অত্যাচার যে এলাকায় চলছে সেখানকার মানুষদের প্রতিবাদ হলে বোঝা যেত যে অভিযোগে সত্যতা আছে। “”অন্যদিকে চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ “” দুর্গাপুর নগর নিগম এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু বহুতল আবাসনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল তা ভেঙ্গে ফেলার জন্য। কিন্তু তারপরেও সেগুলির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দুটি হোটেলকে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়।অথচ এরা এখন সাধারণ গরিব মানুষের দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে বুলডোজার চালিয়ে। আমাদের দাবি আগে পুনর্বাসন দেওয়া হোক তারপর এই বেকারদের উচ্ছেদ করা হোক। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার আমরা মহকুমা শাসকের দপ্তরে অবস্থান-বিক্ষোভে বসব এই দাবিতেই। “”উল্লেখ্য দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি রাজমহল হোটেলের পাশে একটি বহুতল আবাসন রাস্তার গা ঘেঁষে গড়ে উঠছে। এবং দুর্গাপুরের ঘিঞ্জি বেনাচিতি বাজার এলাকার জে,কে,পাল গলিতেও নির্মীয়মান একটি বহু দল আবাসন কে ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই বহুতলগুলিকে কিভাবে দুর্গাপুর নগর নিগম এর পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হল? তানিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *