দুর্গাপুর, ১৬ জুন: গত কয়েকদিন আগে রাণীগঞ্জের একটি প্রখ্যাত সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে।জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত শ্রীপুর ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের অফিসার ইনচার্জ মেঘনাদ মন্ডলের দুঃসাহসিক একক লড়াইয়ের কারণে ডাকাত দল প্রচুর সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিতে ব্যর্থ হয়। মোট সাতজন ছিল সেই ডাকাত দলে। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হয় মেঘনাথ মন্ডলের ছোড়া বুলেটে।মেঘনাথ মন্ডলও আহত হন।এই ডাকাতির ঘটনায় ঝাড়খান্ড ও বিহারের যোগ মেলে। ইতিমধ্যেই গুলিবিদ্ধ সোনুসহ মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করে রানীগঞ্জ থানার পুলিশ। ডাকাতি হওয়া সোনার গহনা কিছু উদ্ধার হয়। কিন্তু ঝাড়খন্ড ও বিহার থেকে যারা ডাকাতি করতে এসেছিল তাদের সাথে স্থানীয় কারো যোগ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। ডাকাতির সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থেকে “”খবরিলাল””এর কাজ কি করেছিল অন্ডাল থানার অন্তর্গত দক্ষিণখন্ডের জয়পুরিয়ার বাসিন্দা শশী মালি?রবিবার অন্ডাল থানার পুলিশ আটক করে শশী মালিকে।এই শশী মালির অন্ডাল এর কাজোড়া মোড়ে একটি ফুলের দোকান আছে বলে জানা গেছে।তার বাড়ি থেকেই অন্ডাল থানার পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাহলে কি এই শশী মালি স্থানীয় সূত্র হিসেবে কাজ করেছিল? ভিন রাজ্যের যে ডাকাত দল এখানে এসেছিল তাদের সমস্ত কিছুর সম্পর্কে অবগত করার স্থানীয় সূত্র হিসাবে শশী মালিও কি এই ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল ও রানীগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও শশী মালীর নববিবাহিতা স্ত্রী ক্যামেরার সামনে তার স্বামী নিরপরাধ বলে দাবি করেন। তিনি জানান “”আমার স্বামী কি করছে? কোথায় যাচ্ছে? সে সম্পর্কে আমি কি জানব না? আমার স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে। “”এই দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনার সাথে শশী মালি জড়িত কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না এলাকার বাসিন্দারা। আপাতত অন্ডাল থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে শশী মালিকে। তদন্তে কি উঠে আসে তা দ্রুত জানানো হবে সংবাদমাধ্যমকে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।