তারাপীঠ, ২৮ জানুয়ারি : ২০২৫ সালে মহাকুম্ভ শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষে মহাকুম্ভে পূণ্য স্নানের বিশেষ যোগ রয়েছে। একদিকে মৌনি অমাবস্যার দিন উত্তরপ্রদেশে সঙ্গমের তীরে যখন সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়ার বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ মানুষ পুন্যস্নানের জন্য হাজির তখন এরাজ্যের তারাপীঠে মহাশ্মশানে অমাবস্যার আঁধারে মঙ্গল কামনায় উপচে পড়ে ভীড়।দুর্গাপুরের আমরাই ইন্দ্রপ্রস্থ আদ্যাশক্তি মহাপীঠ সপ্তপীঠের মন্দির ও সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রান পুরুষ শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজ এবং তার ভক্তবৃন্দরা মৌনী অমাবস্যার গভীর রাতে শক্তিপীঠ তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞের আয়োজনে সামিল।””জয় বাম, জয় তারা””- এমন স্লোগানে মুখরিত হল তারাপীঠ মহাশ্মশান। দূর দূরান্ত থেকে পূণ্য লাভের আশায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে এসে উপস্থিত ভক্তবৃন্দরা শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজকে নিজেদের সুখ ও অসুখের কথা জানিয়ে ভক্তিভরে যজ্ঞকুন্ডে বিল্বপত্র নিক্ষেপ করে তারামন্ত্র উচ্চারণ করলেন।ভক্তবৎসল শিষ্যরা মহাশ্মশানে জপ তপে ব্যাস্ত থাকলেন।এবার দেখা যাক মৌনী অমাবস্যা ২০২৫ সালের তিথি কখন শুরু হচ্ছে?হিন্দুধর্মে অমাবস্যা বা পুর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।

আর ২০২৫ সালের অর্থাৎ ইংরেজি নববর্ষের প্রথম অমাবস্যাকে ঘিরে স্বভাবতই ভক্তদের মধ্যে বিরাট কৌতূহল দেখা গেল। ২০২৫ সালের মৌনী অমাবস্যার তিথিকে ঘিরে বীরভূম জেলার শক্তিপীঠ তারাপীঠে অগণিত ভক্তবৃন্দদের ভিড় । মৌনী অমাবস্যার তিথি কখন থেকে শুরু, ব্রহ্ম মুহূর্তের সুনির্দিষ্ট সময়কাল, পুণ্য স্নানের সময়কাল ঘিরেও কৌতূহল লক্ষ্য করা গেল ভক্তবৎসলদের মধ্যে।২০২৫ সালে মহাকুম্ভ শুরু হয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। মৌনী অমাবস্যা তিথিতে মহাকুম্ভে পূণ্য স্নানের বিশেষ যোগ রয়েছে। মৌনী অমাবস্যা ২০২৫ তিথির বিস্তারিত তথ্য:-হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রে মৌনী অমাবস্যার আলাদা মাহাত্ম্য কথা বর্নিত রয়েছে। ২০২৫ সালের মৌনী অমাবস্যা ২৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সুর্যস্তের পরে শুরু হয়। সংকটমোচনের পুজোর তিথি এই মঙ্গলবার। ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ সালে সন্ধ্যা ৭.৩২ মিনিটে এই অমাবস্যার তিথি শুরু । মৌনী অমাবস্যার যোগ শেষ হবে ২৯ জানুয়ারি,বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৫ মিনিটে। ব্রহ্ম মুহূর্ত সহ গুরুত্বপূর্ণ মৌনি অমাবস্যার পুন্য তিথির বিস্তারিত বিবরণ :- ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ সালের সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরেই মৌনী অমাবস্যা শুরু হয়। রাত পার হয়ে ২৮ জানুয়ারি, বুধবার ব্রহ্ম মুহূর্ত ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে। বুধবার সকাল ৬ টা ২১ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় এক ঘন্টা সময়কাল এই ব্রহ্মমুহূর্ত থাকবে।

এই সময় কালে মহাকুম্ভে পূণ্য স্থান যোগ রয়েছে। মৌনী অমাবস্যায় সূর্য, বুধ, চন্দ্রের যোগে তৈরি হচ্ছে ত্রিবেণী যোগ। এই বিরল যোগও এই তিথিকে বাড়তি গুরুত্ব এনে দিচ্ছে।শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজ তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ শুরুর পুর্বে বলেন,””পরিবারের মঙ্গল কামনার্থে আজ তারার শ্রীচরণে নিজেকে সমপর্ন করতে এত মানুষের আগমন।এ এক মহাযোগ।মহাকুম্ভে পুন্যস্নানের আলাদা মাত্রা রয়েছে, তবে ব্রম্ভ মুহূর্তে আজ স্নান সমস্ত পাপ ক্ষয় করবে।আজ মহাশ্মশানে মহাশক্তিকে আরাধনার মাধ্যমে জপ তপের মধ্যে দিয়ে মহাযজ্ঞ করলাম।শান্তি, মঙ্গল কামনার্থে এই মহাযজ্ঞ।””