দুর্গাপুর, ২৩ এপ্রিল : মঙ্গলবার সকালে দিলীপ ঘোষের চা-চক্র কর্মসূচির আগে সোমবার রাতেই বিজেপি কর্মীরা চা দোকানে ও তার আশপাশের দোকানে ব্যানার পোষ্টার লাগাতে এলে তাদেরকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রাতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো দুর্গাপুর থানার আশীষ মার্কেটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বিজেপির ১ নম্বর মন্ডল সভাপতি বিকাশ সিং এর অভিযোগ,”মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় দিলীপ ঘোষের প্রাত:ভ্রমন এবং চায়ে পে চর্চা কর্মসূচি রয়েছে। তার আগে বিজেপির দলীয় পতাকা বাধার কাজ করছিল কর্মীরা। তখনই এক নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রাজীব ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। বেশ কয়েকজন কর্মীর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। মহিলা কর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়। পুলিশ পৌঁছেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”” দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,”ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রাজীব ঘোষ গ্রেপ্তার না হলে তাঁরা মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষকে সাথে নিয়ে পথ অবরোধ করবেন। থানা ঘেরাও করবেন দিলীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে। কেন তাঁদের কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হলো তার জবাব দিতে হবে তৃণমূলকে এবং পুলিশকে নিরপেক্ষ ভুমিকা নিতে হবে।”” যদিও পুরো অভিযোগ অস্বীকার করে রাজীব ঘোষ বলেন,””এই ওয়ার্ড অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ একটি ওয়ার্ড। বিজেপি চা চক্রের নামে এখানে উত্তেজনা তৈরি করতে আসে। তাদের কয়েকজন মহিলা আমাদের এক কর্মীর দিলদার রহমান ওরফে পানু কে মারধোর করে। আমরা থানায় গিয়ে পুলিশকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছে। বিজেপির বহিরাগত লোকেরা এবং দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমাদের কর্মীরা সংযত ছিল। “”নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই দুর্গাপুরের অন্য কোথাও এখনও পর্যন্ত সংঘাতপূর্ণ বাতাবরণ তৈরি না হলেও দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ বারেবারে উত্যক্ত হয়ে উঠছে। এর আগেও দেয়াল লিখন কে কেন্দ্র করে কখনো দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের সেকেন্ডারি রোড, কখনওবা ডেভিড হেয়ার মোড়, কখনো আবার জে সি বোস বস্তি এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক তাপ উত্তাপ ততই বাড়ছে। এই ঘটনার জেরে আশীষ মার্কেট এলাকায় চাপা উত্তেজনা। চলছে পুলিশি টহল।।