দুর্গাপুর ৩০ অক্টোবর : আজ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি। পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আজ পালিত হচ্ছে সারম্বরে ভূত চতুর্দশী।
ভূত চতুর্দশী হল একটি প্রাচীন ধারার হিন্দু উৎসব, এই ভূত চতুর্দশী দীপাবলির পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এটি হিন্দু পঞ্জিকার কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতে এই তিথিটি “”নরক চতুর্দশী “”নামেও পরিচিত। এ ছাড়াও কোথাও কোথাও “”ছোড়া দিওয়ালি””, “”রূপ চৌদাস””, “”নরক চৌদাস””,”” রূপ চতুর্দশী”” বা “”নরক পূজা”” নামেও পরিচিত।এই দিনে বাঙলায় চৌদ্দশাক খাওয়া এবং চৌদ্দটি প্রদীপ প্রজ্বলনের প্রাচীন রীতি আজও প্রচলিত আছে৷ হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই দিনে কৃষ্ণ ও সত্যভামা নরকাসুরকে বধ করেছিলেন।
উৎসবটিকে কালি চৌদাসও বলা হয়। কালি মানে অন্ধকার ও চৌদস মানে চৌদ্দ তারিখ। এটি কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ১৪ তম দিনে পালিত হয়। ভারতের কিছু অঞ্চলে, কালি চৌদাস হল মহাকালী বা শক্তি উপাসনার নির্ধারিত দিন।
কালি চৌদাস হল অলসতা ও মন্দতা দূর করার দিন যা মানুষের জীবনে আলো প্রদান করে। মৃত্যুর দেবতা যমকেও এই দিনে প্রদীপ জ্বালিয়ে পূজা করা হয় যা মানবজীবনের পরিসমাপ্তির পরে নরকের যন্ত্রণা ভোগ থেকে রক্ষা করে বলে বিশ্বাস রেখেই এই দিনটিকে ভক্তির সাথে পালন করেন অনেকেই।।আবার অনেকেই বলেন এই দিনে অতৃপ্ত আত্মাকে শান্তি প্রদানের জন্য যাগ-যজ্ঞ সহকারে পূজা অর্চনা করা হয়।
তবে ভূত চতুর্দশী উপলক্ষে আলোর উৎসব দীপাবলীর উন্মাদনা শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে।এর পাশাপাশি এই দিন থেকেই কালী পূজার আয়োজন শুরু হয়ে যায়।এই দিনে অনেকেই বাড়ির অন্ধকার কোনায় প্রদীপ জ্বালিয়ে সেই স্থানকে আলোকিত করেন। আবার অনেকেই বাড়ির কোনায় ফুল দিয়ে সাজান।