দুর্গাপুর, ১৫ মার্চ:দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সহ দুর্গাপুরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কারখানা গুলিতে “”মোটা উৎকোচ “” এর বিনিময়ে বহিরাগত শ্রমিকদেরকে নিয়োগ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলি “”কাটমানি “” খেয়ে “”বহিরাগত শ্রমিক “”নিয়োগের অভিযোগ তুলেছে ঘাসফুল শিবিরের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির একশ্রেণির স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় বৃহস্পতিবার এর দুর্ঘটনায় ব্লাস্ট ফার্নেস বিভাগে প্লেট কাটিং এর সময় আগুনে ঝলসে যায় চারজন ঠিকা কর্মীর দেহ। আর এই চারজন ঠিকা কর্মীর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাঁচি ও বোকারো বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। প্রশ্ন উঠেছে এখান থেকেই।
কিভাবে কাদের হাত ধরে রাঁচির বাসিন্দাএই ঠিকা কর্মীরা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় কাজ পেলেন? স্থানীয় বেকার যুবকরা যখন কাজ পাচ্ছে না দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায়। আইএনটিটিইউসির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ ঘটক দুর্গাপুরে বহুবার বিভিন্ন কারখানার গেটে সভা সমাবেশে মাইক ধরে বলেছেন, “”এই কারখানা গুলিতে স্থানীয় বেকারদের কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।শুধুমাত্র এমন কিছু কাজ আছে যা দক্ষ ঠিকা কর্মীদেরকে দিয়ে করানো হয়। সেক্ষেত্রে বহিরাগত টেকনিশিয়ান আনতে হয় কোম্পানিগুলিকে। “”কিন্তু যে চারজন আজ দুর্ঘটনাগ্রস্ত তারা কি সেই দক্ষ টেকনিশিয়ানদের মধ্যে পড়ে? প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আইএনটিটিইউশির পদাধিকারীদের আড়ালে রেখেই চলছে বহিরাগত ঠিকা কর্মী নিয়োগ? আর এমন প্রশ্ন উঠছে ঘাসফুল শিবিরের অন্দরেই।যে চারজন ঠিকা কর্মী আজ আহত হন তাদের তিনজনের নাম পাওয়া যায়। রাকেশ কুমার গুপ্তার বয়স ৪০ বছর।রাকেশ কুমার গুপ্তার বাড়ি ঝাড়খন্ডের বোকারো জেলায় ,হীরালাল গোপ এবং বিনোদ কুমার চালাক। আরও একজনের নাম জানা যায়নি।এদের প্রত্যেকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাঁচি বলেও জানা গেছে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধিকারিক সহ আইএনটিটিইউসি দীপঙ্কর লাহা দ্রুত দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে পৌঁছান। দীপঙ্কর লাহা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান,””ছোট্ট একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। গাফিলতি আছে কিনা সে বিষয়ে আমাদের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক জানাবেন। দুজন আহত আছে।তবে তারা দুজনেই বিপদমুক্ত বলে জানতে পেরেছি। “”বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলছেন যে বহিরাগতদের এনে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় কাজ করানো হচ্ছিল তার উত্তরে আইএনটিটিইউসি নেতা দীপঙ্কর লাহা জানান, “”এর আগে যখন কারখানায় সিটুর রাজত্ব ছিল তখন ঠিকাদারদের নিজস্ব কর্মীর সংখ্যা ছিল ৫০ শতাংশ আর ইউনিয়নের ঠিকা শ্রমিক সংখ্যার শতাংশ ছিল ৫০। আইএনটিটিইউসি ক্ষমতায় আসার পর এই রেসিওতে পরিবর্তন এনে এখন ৭০ শতাংশ ঠিকা কর্মী ইউনিয়ন থেকে দেওয়া হয় এবং বাকি ৩০% ঠিকা কর্মী নিয়োগ করে ঠিকাদার। সেই ৩০ শতাংশ ঠিকা কর্মী আবার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঠিকা কর্মী বলেই বিভিন্ন ঠিকাদারই সংস্থাকে তাদেরকে বাইরে থেকেই আনতে হয়। বিরোধীরা অপপ্রচার এবং বিকৃত করছে ঘটনাকে। “”