দুর্গাপুর, ১৫ মার্চ: ভাড়াবাড়ির ভেতরে ফ্যানে নাইলনের দড়িতে ঝুলছে ফার্মেসি পড়ুয়ার মৃতদেহ। পকেটে রয়েছে সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে লেখা ‘আমার জন্য যদি কেউ কষ্ট পায় তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার মৃতদেহ দাহ না করে সমাধি দেওয়া হোক।’ দুর্গাপুরের ফুলঝোরের এই ঘটনাকে ঘিরে ছড়ালো ব্যাপক চাঞ্চল্য। মৃত পড়ুয়ার নাম বিশাল দাস(২১)। মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর সংলগ্ন রসুলপুরের বাসিন্দা। দুর্গাপুরের বিধাননগরের ডা. মেঘনাদ সাহা সরণির বেসরকারি ফার্মেসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। গত দুবছর আগে ওই ফার্মেসি কলেজে ভর্তি হয় বিশাল।
দুর্গাপুরের ফুলঝোরের ভাড়া বাড়িতে দুই বন্ধুর সাথেই থাকতো।শুক্রবার কলেজে যায়নি বিশাল। সহপাঠী তন্ময় দত্তর দাবি, “ওই ভাড়াবাড়িতে তিন সহপাঠী থাকতেন। বিশাল শুক্রবার কলেজে যায়নি। ভাড়াবাড়িতেই ছিল। তবে তাঁরা কলেজে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ভেতর দিকে দরজা বন্ধ। বিশালকে ফোন করার পরেও কোনো উত্তর মেলেনি।পড়ে ভাড়াবাড়ির মালিককে বিষয়টি জানান। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।পুলিশ পৌঁছে জানালা ভেঙে দেখতে বলেন। জানালা ভেঙে দেখেন ঝুলছে বিশাল। তারপরেই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। বিশালের পকেটে একটি সুইসাইট নোটও ছিল বলেও জানান।’ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে কি কারনে মৃত্যু খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।”