দুর্গাপুর, ৪ জুন: জয়ের লক্ষ্মী বর্ধমান দুর্গাপুর এসে অধরা রয়ে গেল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে। অন্যদিকে ভিন রাজ্যের বহিরাগত প্রার্থীর তকমা পাওয়া ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য বর্ধমান দুর্গাপুরের তার টিমকে নিয়ে অলরাউন্ড পারফরমেন্স করে বিজয়ির শেষ হাসি হাসলেন কীর্তি আজাদ।
জয়ের পর তিনি যখন বর্ধমানের ইউনিভার্সিটি ইন্সিটিউট অফ টেকনোলজিতে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের হাত থেকে জয়ের শংসাপত্র গ্রহণ করছিলেন তখন ঠিক তার পাশের ঘরেই বসে ছিলেন পরাজিত বিজেপির ডাকাবুখো নেতা দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকরা যখন কীর্তি আজাদকে শংসাপত্র দেওয়ার ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত, সেই সময় কার্যত চুপিসারে গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যান দিলীপ ঘোষ। গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কীর্তি আজাদ প্রথমে জানান, “”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে আশীর্বাদ করে পাঠিয়েছিলেন এই কেন্দ্রে। তিনি তার মুখ রক্ষা করতে পেরেছেন বর্ধমান দুর্গাপুরের সাধারণ ভোটারদের আশীর্বাদ এর কারনে। কেন্দ্রের কাছে বকেয়া পাওনার দাবিতে লড়াই শুরু হবে। বিভিন্ন ইস্যুতে আমি পার্লামেন্টে প্রশ্ন তুলব। “”তবে দিলীপ ঘোষের এভাবে নিঃশব্দে চলে যাওয়াকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না কীর্তি আজাদ। তিনি সাংবাদিকদের কে জানিয়ে দিলেন, “”আমি যখন ক্রিকেট খেলতাম তখন পাকিস্তান হেরে গেলেও তারাও দেখতাম খেলার শেষে হাত মেলাতে আসতেন। কিন্তু উনি তো দেখলাম এই সৌজন্য টুকুও দেখালেন না। উনি পালিয়ে গেলেন। “”