ধূলো উড়িয়ে খুঁজে পেয়েছে জীবিকার্জনের পথ

দুর্গাপুর, ২৪ জানুয়ারি : কবি বলেছেন, “”যেখানে দেখিবে ছাই, ওড়াইয়া দেখো তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।”” খুব ভালো করে যদি খেয়াল করেন তাহলে বুঝবেন কবির এহেন বক্তব্য বাস্তবের সঙ্গে হুবহু মিলে গিয়েছে। আমাদের চারিপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা দুমুঠো অন্নের জন্য নিত্যদিন হাড়ভাঙ্গা কষ্ট করছেন। অনেকেই আবার ধুলো উড়িয়েই দুবেলা অন্য জোটানোর টাকাটা করে নিচ্ছেন রোজগার। এদের নাম হয়ে গেছে “” সোনা ঝাড়ি””।মুলত আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় এদের বাস।এরা শুধুমাত্র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সোনার দোকানগুলিতে ঝাঁড়ু দিয়ে সোনা,রুপার ক্ষুদ্রকায় টুকরো খুঁজেই উপার্জন করে তা কিন্তু নয়,এরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়েও এই কাজই করেন।

দুর্গাপুরের বেনাচিতি,চন্ডীদাস বাজার, স্টেশন বাজার,অন্ডালের উখড়াতে অলিতে গলিতে রয়েছে একগুচ্ছ সোনার দোকান। সেই দোকানের বাইরেই মাঝেমধ্যে দেখা যায় এমন বেশ কিছু মানুষকে যারা দোকানের বাইরে ঝাঁট দেন। এক বিশেষ ধরনের ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেন তারা। আসলে সোনার দোকানের ভেতরে ও বাইরে পড়ে থাকার টুকরো সোনা,রুপো এভাবেই খুঁজে নেন তারা। তারপর সেগুলি বিক্রি করেন সোনার দোকানে। আর এতেই জুটে যায় তাদের দুবেলার অন্ন। এ কাজ করে প্রত্যেকদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করেন তারা। বংশ পরম্পরাতেই চলছে তাদের এই ব্যবসা।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ