দুর্গাপুর, ১৭ সেপ্টেম্বর : দুর্গাপুর থানা এলাকার রঘুনাথপুর বাজারে এলাকায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলিং সহ, অক্সিজেন সিলিন্ডার ওয়েল্ডিং এর দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো। ঘটনাস্থলে মুহূর্তের মধ্যে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ বাহিনী ও দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দমকলের দুটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে দোকান মালিক চন্দন ঘোষ আহত, তাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। কয়েকমাস আগেই দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের উইলিয়াম কেরিতে একটি গ্যাস সিলিন্ডার রিফেলিং এর দোকানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের যে রে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো এবার দুর্গাপুর থানা এলাকার রঘুনাথপুর বাজারে এলাকায়।

চন্দন ঘোষের একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানে গ্যাস রিফিলিং করা হয়, এর পাশাপাশি সেখানে বোতলে ভরে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করা ছাড়াও অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ বিভিন্ন জিনিস ওয়েল্ডিং করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে চন্দন ঘোষের দোকানের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দোকানে।

পাশাপাশি দোকানগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে দোকান মালিক চন্দন ঘোষ আহত হন। তাকে দ্রুত বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে দ্রুত আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে বারবার একই প্রশ্ন উঠছে কিভাবে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার এলাকায় বেআইনিভাবে এই গ্যাস রিফলিং, বোতলে ভরে পেট্রোল ও ডিজেলের মতো অতি দাহ্য বস্তু বিক্রি করা হচ্ছে? কেন নজরদারি নেই প্রশাসনের? এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে রঘুনাথপুর বাজারে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নিতেন?

দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে গ্যাস রিফিলিং,উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ বিভিন্ন জিনিস ওয়েল্ডিং এবং অতি দাহ্য জ্বালানি পেট্রোল ও ডিজেল বেআইনিভাবে কিভাবে বছরের পর বছর বিক্রি করছে এই ব্যবসায়ীরা? তাহলে কি আরো বড় দুর্ঘটনার অপেক্ষায় প্রশাসন?