দুর্গাপুরে একের পর এক ছিনতাই,গ্রেপ্তার আন্ত:রাজ্য ছিনতাই চক্রের মূল পান্ডা ঝাড়খণ্ডের ইনসাফ আনসারি

দুর্গাপুর, ১০ জুন: পরিপাটি করে সাজানো শহর দুর্গাপুর। বিশেষ করে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের সবুজে ভরা রাস্তাঘাট। প্রাতঃভ্রমণে অথবা সান্ধ্য ভ্রমণে বেরিয়েছেন বয়স্ক মহিলা, যুবতী।সাধারণত তাদের গলায় সোনার হার, লকেট এসব চেনা ছবি। দুর্গাপুরের রাস্তাঘাট এমনিতে নিরাপদ। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে সেই নিরাপদ রাস্তায় হয়ে উঠেছিল মহিলাদের কাছে আতঙ্কের রাস্তা। বয়স্ক মহিলাদের বা যুবতীদের গলায় সোনার চেন দেখলেই ছিঁড়ে নিমিষের মধ্যে চম্পট দিচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনা দেখে দুর্গাপুরে বাড়ছিল আতঙ্কও।

বেশ কয়েকটা মাস কেটে যাওয়ার পরেও দুষ্কৃতীদের হদিস পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল দুর্গাপুর থানার পুলিশকে। সিসিটিভি ফুটেজ আর বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং করেও কেউই পড়েনি ধরা। শেষমেষ পুলিশের তদন্তে উঠে আসে ঝাড়খণ্ডের একটি চক্র কাজ করছিল। উঠে আসে সোনার চেন ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড ইনসাফ আনসারির নাম। ঝাড়খণ্ডের একাধিক থানায় যার নামে রয়েছে অপরাধ মূলক কাজের প্রচুর অভিযোগ। রবিবার রাতে ঝাড়খন্ড পুলিশের সহযোগিতায় ঝাড়খণ্ডের গিরিডি এলাকা থেকে ইনসাফ আনসারীকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। সোমবার পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের পিছনে কতজন রয়েছে এবং চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারেরও তদন্ত চালানো হবে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।ঝাড়খণ্ডের এই চক্রটির সাথে স্থানীয় কেউ যুক্ত আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তবে আন্ত:রাজ্যের ছিনতাই চক্রের এই মাস্টার মাইন ধরা পরার পর দুর্গাপুর থানার পুলিশ অনেকটাই স্বস্তি পেল এমনটা বলাই যায়।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *