দুর্গাপুর, ১৩ জুন: বিপজ্জনক দুর্গাপুর ব্যারেজের ৩ নম্বর লকগেটের গভীর জলে ঝাঁপ দেয় এক যুবক।আত্মহত্যার উদ্দেশ্যেই সে কচুরিপানা পুর্ন দামোদরের গভীর জলরাশিতে মরণঝাঁপ দেয়।আর তা দেখতে পায় দুর্গাপুর ব্যারেজে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার কাজে ব্যাস্ত দুই সিভিক ভলেন্টিয়াররা।দেখামাত্রই তারা তরতর করে নেমে পড়ে লকগেটের কংক্রিটের দেওয়ালে।তারা ওই ডুবন্ত যুবকের হাত টেনে ধরে তাকে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও টেনে তোলে।নির্ভীক দুই সিভিক ভলেন্টিয়াররা নিজেদের জীবন বাজি রেখে দুর্গাপুরের সুরেন্দ্র সিং (৪০ বছর) নামের ওই ব্যাক্তির প্রান বাঁচিয়ে কার্যত রিয়েল লাইফে হিরোর মত কাজ করল।
বৃহস্পতিবার বেলা বারোটার সময় দুর্গাপুর ব্যারেজের তিন নম্বর লক গেটে দুর্গাপুর সিনেমা হল রোড পাঞ্জাবি পাড়ার বাসিন্দা সুরেন্দ্র সিং (৪০ বছর) হঠাৎ করে আত্মহত্যার জন্য দামোদরের ব জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওই সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে কর্তব্যরত বড়জোড়া থানার দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দীপক কুমার দাস ও অরূপ মণ্ডল এর নজরে পড়ে সেই ঘটনা। তারা কোনও কিছু না ভেবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্যক্তিকে জল থেকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি সুস্থ অবস্থায় আছে।দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দীপক কুমার দাস এবং অরূপ মন্ডল এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “”দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদরের জলে বহু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ডিউটি করার সময় তাই নজর রাখি আশপাশের এলাকা গুলিতেও। আজ আমাদের চোখে পড়ে এক ব্যক্তির জলে ঝাঁপ দেওয়া। কোন কিছু না ভেবে আমরা তাকে উদ্ধারের জন্য নেমে পড়ি। আমরা খুশি একজনের প্রাণ বাঁচাতে পেরে। “”রাজেন্দ্র সিং কি কারণে আত্মহত্যা করতে জলে ঝাঁপ দিয়েছিল তা তদন্ত করছে পুলিশ। দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর গর্বে গর্বিত ববড়জোড়ার সমস্ত পুলিশ কর্মীসহ সিভিক ভলান্টিয়াররা। দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার এর এরকম জীবন বাজি রেখে জীবন বাঁচানোর কাজ প্রশংসা পেয়েছে স্থানীয়দের।।