দুর্গাপুর, ১৮ ডিসেম্বর : সামনেই বড়দিন। তারপরেই ইংরেজি নববর্ষের সূচনা হবে। এই সময় পিকনিক মুডে চলে আসে বাঙালি। হালফিলে এই সময়টাতে খানা পিনা দেদার আয়োজন।নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে মূলত এই সময় বহু বড় বড় দুর্ঘটনাও ঘটে যায়। অচিরেই শেষ হয়ে যায় বহু পরিবার। তাই এই সময় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বুধবার হঠাৎ শহরের রাস্তায় নামলো স্যান্টাকে। হেলমেট বিহীন বাইক চলকদের শাস্তি হিসাবে দিল গোলাপ ফুল। বড়দিনের আগে স্যান্টাকে এই ভূমিকায় দেখে দেখে চমকে গেলেন অনেকে। আবার সান্তাকে দেখে মেরি ক্রিসমাস বলে পড়ুয়ারাও উৎসাহিত হয়ে পড়ে। আদতে এই স্যান্টা ট্রাফিক পুলিশের সাথে ট্রাফিক সামলাচ্ছিলেন। দুর্গাপুরের ১৯ নং জাতীয় সড়কের ওল্ড কোর্ট মোড়ে বড়দিনের প্রাক্কালে পথ চলতি মানুষকে এবং গাড়ির চালকদের সচেতন করতেই দুর্গাপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছিল। গাড়ির চালকদের হেলমেট এবং সিট বেল্ট লাগানোর বার্তা দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ওল্ড কোর্ট মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়। দুর্গাপুরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ৩ সঞ্জীব তেওয়ারি জানান, ” বড়দিনের আগে সান্টাকে নিয়ে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের সচেতনতা করা হলো। ওল্ড কোর্ট মোড়ের এই জায়গাটি ট্রাফিকের জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ট্রাফিক সিগন্যাল থাকলেও তা না মানার প্রবণতা রয়েছে। সেই বিষয়ে সচেতন করলো সান্টা। আইন মান্যকারীদের উপহার দিল। বাচ্চাদের চকোলেট দিয়েছে। পরিবারের বাচ্চাদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ে সচেতনতা এলে বড়দেরও আসবে।”পথচারী আয়েশা বেগম জানালেন, “”দুর্গাপুরের ট্রাফিক পুলিশের এক দারুণ উদ্যোগ। তবে সাধারণ পথচারীদের কে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। হেলমেট ও সিটবেল্টের ব্যবহার করতে হবে। স্বাধীনভাবে রাস্তায় নিজের মত গাড়ি চালাচ্ছি, এটা ভাবলে চলবে না। সবার কথা মাথায় রেখেই গাড়ি চালাতে হবে। সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলেই দুর্ঘটনা কমবে। “”