চৈত্রের মাঝেই তীব্র দাবদাহে পাখীরা খাবারের ও জলের সন্ধানে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে

দুর্গাপুর, ৩১ মার্চ: ৩৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা। চৈত্রের মাঝেই নাজেহাল অবস্থা আমজনতার। তীব্র দাবদহে জনজীবন অতিষ্ঠ। তার মাঝেই কাঁকসার গড় জঙ্গলে শুকনো পাতায় জ্বলছে লাগাতার আগুন। জঙ্গল জুড়ে পানীয় জল এবং খাবারের সংকট। বিভীষিকা অবস্থায় বন্যপ্রাণ। অন্যদিকে ২০১৮ সালে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বিপন্ন তালিকাভুক্ত বনপেঁচার দেখা মিলল সোমবার সকালে। সকাল হলেই দেখা যাচ্ছে খাবারের খোঁজে পাখিদের। বর্তমানে কাঁকসার গড় জঙ্গলে বাস করছে বহু টিয়া পাখি। তাদের মধ্যে অন্যতম চন্দনা। সেই চন্দনা পাখিদের দেখা যাচ্ছে গড় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে। কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে ডুমুর গাছে ডুমুর ফল খেতে ভিড় জমাচ্ছে চন্দনা পাখিরা।

বেলা গড়াতেই আবার জঙ্গলের কোনো জলাশয়ের ধারে চলে যাচ্ছে। বিশেষ নজরদারি শুরু করেছে দুর্গাপুর বনাঞ্চল। দুর্গাপুর বনাঞ্চলের শিবপুর বিট অফিসার অনুপ কুমার মন্ডল বলেন,”এই সময় জলের সংকট দেখা দেয়। গড় জঙ্গলেও রয়েছে বেশ কিছু বনদপ্তরের জলাশয়। এগুলিতেও জল কমে গেছিল। বন দপ্তরের তরফ থেকে পাম্প চালিয়ে কিছুটা করে জল ভরা হয়েছে। এই জলাশয় গুলিতে ভিড় জমাচ্ছে পাখিরা। আগুন লাগানোর প্রবণতা রয়েছে এই সময়। আমাদের তরফ থেকে আগুন নেভানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু পাখি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসছে। সেই পাখিগুলোর যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য বনদপ্তরের কর্মীরা বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে।

“”কাঁকসায় বন পেঁচার দেখা মিলেছে। যা অত্যন্ত আনন্দদায়ক একটি সংবাদ। বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির এই প্যাঁচা খুব একটা দেখায় যায় না। যে কারণে আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে বন প্যাঁচা কে বিপন্ন পক্ষীদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তীব্র গরমে নাজেহাল জঙ্গলের পক্ষী কুল। তারা যাতে জনবহুল এলাকায় খাবার ও জলের সন্ধানে গিয়ে বিপদের মুখে না পড়ে সেই কারণ কে মাথায় রেখেই বনদপ্তর এর পক্ষ থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখনও বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ বাকি। চৈত্রের মাঝামাঝি যে হিট ওয়েভ দেখা যাচ্ছে তাতে তাপমাত্রার পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বাড়বে তা বলায় বাহুল্য।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ