সৌম্যদীপ বন্দোপাধ্যায় , দুর্গাপুর, ৩০ ডিসেম্বর : দশকের পর দশক এ রাজ্যের শীত পড়লেই চেনা ছবি ছিল সাইকেল কিংবা মোপেড গাড়িতে গাঁট বেঁধে কাশ্মীরের সাল বিক্রেতাদের দরজায় দরজায় শাল বিক্রি করা ছবি। কিন্তু সেই ছবি অনেকটা উধাও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। আবার যেখানে যেখানে শাল বিক্রেতা তাদের দেখা যাচ্ছে সেখানে তাদের মুখে একই কথা, “”কাশ্মীরি শাল বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। “”দুর্গাপুরে তাই দেখা যাচ্ছে তিন দর্শকরাও বেশি সময় কাল ধরে শাল বিক্রি করা শফিক আহমেদ প্রথমে পাড়ায় পাড়ায় শাল বিক্রি করতেন পরে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে কাশ্মীরি শাল বিক্রির শো-রুম খুলে বসেন।কিন্তু শফিক আহমেদ এখন শাল বিক্রির পাশাপাশি টুরিস্ট এজেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। এখান থেকে বহু মানুষ তার মাধ্যমে পাড়ি দিচ্ছেন ভূ-স্বর্গ কাশ্মীর দর্শণের জন্য। কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন শফিক আহমেদ। তাই তিনি ইটিভি ভারতের ক্যামেরার সামনে জানালেন, “”এখানে শীতের দাপট অনেকটাই কমে যাওয়া এবং অনলাইন ব্যবসার কারণে তাদের শালের ব্যবসাতে আর সেরকম বাজার নেই। ৩৮ বছর ধরে দুর্গাপুরে এই শাল ব্যবসা করছি। এখন শালের বাজার একেবারেই পড়তি। যেখানে থাকি এবং শোরুমের ভাড়া,নিজের এখানে খাওয়ার খরচ, মহাজনদের টাকা মেটানো পেরে উঠছিলাম না আর । বাধ্য হয়ে কাশ্মীর ভ্রমণে যাচ্ছেন যারা তাদের কথা মাথায় রেখেই এই পর্যটন ব্যবসায় নেমে পড়া। আমি এখান থেকে বুকিং করি। কতজন যাচ্ছেন? কোথায় থাকবেন? তাদের খাওয়া দাওয়া হোটেলে থাকা, কাশ্মীরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান তাদেরকে দেখানো এই সমস্ত ব্যবস্থায় আমি এখানে বসে করে দিচ্ছি। আর এটাই এখন আমার কাছে রোজগারের নতুন উপায়। “”শাল বিক্রেতা হিসাবে প্রায় 4 দশক শিল্প নগরীর মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার পর এখন শফিক আহমেদের নতুন পরিচয় তিনি একজন পর্যটন ব্যবসায়ী। তাহলে কি এ রাজ্যে অনতিকাল পরেই হারিয়ে যাবে কাশ্মীরের শাল বিক্রেতাদের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ানোর সেই চেনা ছবি? উত্তর দেবে আগামী সময়।।