কারখানার গেটে শ্রমিক আন্দোলনে অশালীন ভাষা প্রয়োগ বংশগোপাল চৌধুরীর

দুর্গাপুর, ১৭ জানুয়ারি : রাজ্য রাজনীতিতে বেশ কয়েকজন নেতা বারবার অশালীন মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন।এবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানার গেটের বাইরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বিতর্কে প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে সিপিআইএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু নেতা বংশগোপাল চৌধুরী । এটাই সিপিআই(এম)র কালচার বলে সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস। ১২৩ জন শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে নামো সগড় ভাঙার একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার গেটে সিটুর প্রতিবাদ সভা আয়োজিত হয়। সেই সভা থেকে কারখানা কতৃপক্ষকে কার্যত তুলোধোনা করলেন সিটু নেতা বংশগোপাল চৌধুরি। তিনি বলেন,”দ্রুত যদি কাজে পুনর্বহাল করা না হয় তাহলে আমরা আন্দোলনের পথে হাঁটবো। তারপরেই কারখানা কর্তৃপক্ষকে অশালীন মন্তব্য ব্যবহার করে তুলোধোনা করেন।আগামী ২২ শে জানুয়ারী শ্রম কমিশনারের সাথে এই ইস্যুতে রয়েছে বৈঠক। সেই বৈঠক ফলপ্রসু না হলে চূড়ান্ত আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সিটু নেতার।” তীব্র কটাক্ষ করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,”বামপন্থী দলের এটাই রীতি। এখন তো আবার তাদের মুখে অশালীন মন্তব্য বেরোচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করতেই পারে কিন্তু অশালীন মন্তব্য প্রয়োগ করতে পারেনা। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।”উল্লেখ্য এর আগে রাজ্যে যখন বাম শাসন বজায় ছিল তখন অনিল বসু, বিনয়কৃষ্ণ কোঙার রা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সেইসময়ের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারংবার অশালীন মন্তব্য প্রয়োগ করেছিলেন।জনমানসে যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। বামেরা ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরেও আবার বংশ বাবুদের মুখে অশালীন ভাষা প্রয়োগ। যার সমালোচনায় সরব হয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক নেতাদেরকে আদর্শ মনে করে তাদের অনুগামীরা তাদেরকে সম্মান প্রদর্শন করেন। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে “”হিরো”” হতে গিয়ে রাজনৈতিক নেতারা যখন অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন তখন তা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা হয়ে ওঠে।যদিও বংশগোপাল চৌধুরী তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অত্যন্ত সুমিষ্ট এবং স্বল্পভাষী বলে পরিচিত। কিন্তু তার মুখেই অশালীন ভাষা প্রয়োগে অনেকেই কার্যত হতবাক।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ