কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ শেষ হলো জুডিশিয়াল একাডেমি তে

কলকাতা, ৭ অক্টোবর :সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি সৌমেন সেনের নেতৃত্বে, মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি শ্রীযুক্ত সঞ্জীব শর্মার পরিচালনায় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল একাডেমিতে টানা পাঁচ দিনের (সর্বমোট ৪০ ঘন্টা) মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হলো। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র মিডিয়েশন ট্রেনার কে. কে মাখিজা এবং শ্রীমতী নাগিনা জৈন এই প্রশিক্ষণ পর্বের প্রশিক্ষক হিসাবে নেতৃত্ব দেন।কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ( লিগ্যাল) আর, এবং মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ড. শুভাশিস মুহুরী জানান – ” তৃতীয় পর্যায়ে সমাজের বিভিন্নস্তরের ২৮ জন মিডিয়েশন প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন।এই কমিটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জমে থাকা মামলা গুলির দ্রুত নিস্পত্তি ঘটানো”। জানা গেছে, গত ৩ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতার নিউটাউন – রাজারহাট এলাকায় অবস্থিত ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হয়েছিল।শেষ হলো সোমবার (৭ অক্টোবর)। এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন দুজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মাননীয় শুভাশিস দাশগুপ্ত এবং মাননীয় সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী। এর পাশাপাশি অংশগ্রহণ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অরিজিনাল সাইডের রেজিস্ট্রার শ্রী দেবপ্রসাদ নাথ, প্রেসিডেন্সি স্মল কজেস কোর্টের চিফ জাজ শ্রী আশুতোষ কুমার সিং, কলকাতার ফ্যামিলি কোর্টের প্রিন্সিপাল জাজ শ্রী গোপাল চন্দ্র কর্মকার, রাজ্য অনুসন্ধান বিভাগের কমিশনার জনাব রশিদ আলম।সেইসাথে রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে ২০ জন আইনজীবী ছিলেন মিডিয়েশন প্রশিক্ষণে।

তবে এবার কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটি আইনমহলের বৃত্তের বাইরে শ্রীমতী মহুয়া ঘোষ (সিএ) এবং সাংবাদিক ও সাহিত্য সংগঠক মোল্লা জসিমউদ্দিন কে এই প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করেছিল।জানা গেছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে মিডিয়েটর নিয়োগ করে নিদিষ্ট সময়সীমা বেঁধে বিচারধীন মামলা গুলি বাদী – বিবাদী পক্ষের আলাপ আলোচনায় দ্রুত মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হবে। কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইনী সংবাদদাতা মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান -” এই ভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের সূযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। অশেষ ধন্যবাদ জানাই কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটি কর্তৃপক্ষ কে “। টানা ৫ দিনের প্রশিক্ষণ পর্বে কলকাতা হাইকোর্টের মিডিয়েশন এবং কনসলিডেশন কমিটি অফিসের কর্মী মহম্মদ নৌশাদ প্রত্যেক প্রার্থীর উপস্থিতির সাক্ষরগ্রহনে ছিলেন খুবই দায়িত্বশীল।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *