দুর্গাপুর, ২০ ফেব্রুয়ারি: এক মহিলার সাথে “” ঘনিষ্ঠ “” সম্পর্ক দুইভাই এর।আর তাই নিয়েই প্রতিদিনই অশান্তি। সোমবার সেই অশান্তি চরমে উঠলে প্রতিবাদ করতে যায় তাদের আত্মীয়রা।আর তার জেরেই ধারালো কাটারির কোপে জখম চার জন, তাদের মধ্যে তিনজনকে আশংকাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে।ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত রঞ্জিত ওরফে বাপ্পা দাস। দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত সগরভাঙা গ্রামের পান পাড়ার এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়ে অভিযুক্ত মহিলা বর্ষা দাস। তাকে কোনওক্রমে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগ সসগড়ভাঙা পান পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত দাস ওরফে বাপ্পা, তার ভাই সুজিত দাস ও বর্ষা দাস একটি পরিবারের বাসিন্দা।অভিযোগ এই বর্ষার প্রথমে বিবাহ হয় বাপ্পার সাথে কিন্তু পরে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভাই সুজিতের।অভিযোগ তাকে কেন্দ্র করেই বাপ্পা মদ্যপ অবস্থায় নিত্যদিন অশান্তি করে।সোমবার সেই অশান্তি চরমে উঠলে তাদের পাশেই থাকা রঞ্জিত দাসের জ্যেঠতুতো ভাই সুশান্ত দাস, জ্যেঠু স্বপন দাস ও জ্যেঠিমা শেফালি দাস প্রতিবাদ করলে বাপ্পা ধারালো কাটারি দিয়ে তাদের এলোপাথাড়ি আক্রমণ করে।তিনজনকে কুপিয়ে দেয় বলে অভিযোগ বাপ্পার জ্যেঠতুতো বোন সুজাতা দাসের।এমনকি বাপ্পা ও তার ভাই সুজিত সুজাতাকেও মারধোর করে বলে অভিযোগ। এরপরই আশপাশের লোকজন বাইরে বেরিয়ে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তিন জন। সাথে সাথে কোকওভেন থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে, পুলিশকে ঘিরে ধরে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেয় স্থানীয়রা, পুলিশ অভিযুক্ত রঞ্জিত দাস ওরফে বাপ্পা কে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ গাড়িতে তোলে, এরপর জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে বাপ্পা ও তার ভাই এর সাথে থাকা মহিলা বর্ষা।তাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে কোকওভেন থানার পুলিশ গাড়িতে তুলতে গেলে উত্তেজিত জনতার রোষ আছড়ে পড়ে ঐ মহিলার ওপর, এদের অভিযোগ ছিল যত কান্ড এই মহিলাকে ঘিরে, রীতিমতো তার ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা, কোনোক্রমে কোকওভেন থানার পুলিশ ঐ মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। গোটা ঘটনার জেরে টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের সগরভাঙা গ্রামের পান পাড়া এলাকায়, পড়ে পুলিশই শান্ত করে উত্তেজিত জনতাকে। পাড়ার পরিবেশকে এই পরিবার নস্ট করে রেখেছে বলে অভিযোগ। কোকওভেন থানার পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।