দুর্গাপুর, ১৯ ফেব্রুয়ারি: পুর্ব বর্ধমান নদীয়ার পরে এবার পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় একই পরিবারের ৩ জন সহ মোট ১১ জনের বাড়িতে আধার কার্ড বাতিলের চিঠিকে ঘিরে আতঙ্ক।লোকসভা নির্বাচনের আগে এই আধার কার্ড বাতিল কি রাজনৈতিক ইস্যু? গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম জেলা সিউড়িতে আধার কার্ড বাতিল নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব । মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব কে ইতিমধ্যেই আধার কার্ড বাতিল হয়েছে যাদের তাদের অভিযোগ জমা করার জন্য পোর্টাল খোলার নির্দেশ জারির কথা। মুখ্যমন্ত্রী এমন কথাও বলেন যে, যাদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে,তারা কোনও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না। আধার কার্ড বাতিলের কারনে কাঁকসার এক ছাত্রীর ফর্ম ফিলাপ হল না! আধার কার্ড বাতিলের জেরে অমাবস্যার অন্ধকারে স্নাতক পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বনকাটি পঞ্চায়েতের ১১ মাইলের আশা বিশ্বাস বীরভূমের ইলামবাজারের কবি জয়দেব মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। কয়েক মাস পরেই পরীক্ষা। কয়েকদিন আগে তারই ফর্ম ফিলাপ করতে যায় আশা। সেখানে গিয়েই আধার কার্ডের নাম্বার দিয়ে পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করতে গিয়েই বুঝতে পারে তাঁর আধার কার্ড বাতিল। তারপরেই চরম চিন্তিত হয়ে পড়ে সে। শনিবার ডাক বিভাগের মাধ্যমে আধার কার্ড বাতিলের একটি চিঠিও হাতে পায় সে। বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১১ জনের আধার কার্ড বাতিলের চিঠি এসেছে বলে সূত্রের খবর। পূর্ব বর্ধমানের পর পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় আধার কার্ড বাতিলের নোটিসকে ঘিরে আতঙ্কের বাতাবরণও তৈরি হয়েছে। প্রথম বর্ষের স্নাতক পড়ুয়া আশা বিশ্বাস বলেন,”জীবনে অনেক বড় হওয়ার ইচ্ছা ছিল। তবে আধার কার্ড বাতিলের পর কিভাবে পরীক্ষায় বসবে সেই নিয়ে চিন্তিত সে।” কাঁকসার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন,”রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলার চক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকার। এইভাবে আধার কার্ড বাতিল হতে থাকলে আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।” বিজেপির মন্ডল সভাপতি রাজিব রায় বলেন, “আধার কার্ড বাতিল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস অপপ্রচার করছে। যাদের আধার কার্ড বাতিল বলা হচ্ছে তারা আবার আধার কার্ড করার সুযোগও পাচ্ছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে জানাবো।”” এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক পন্নামবলাম এস ফোনে জানিয়েছেন,”সবদিক খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।”””লোকসভা নির্বাচনের আগে আধার কার্ড বাতিল ইস্যু আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমজনতার কাছে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে তাহলে কি সিএএ আইন লাগু হতে চলেছে রাজ্যে??