অন্ডালে স্বামী-স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য

দুর্গাপুর, ২৯ মার্চ:- রাতে পাশেই মামার বাড়িতে ঘুমিয়ে সকালে বাড়ি এসে ছেলে রোহিত বাউরি অনেক ডাকাডাকি করেও মা-বাবা দরজা খুলছে না দেখে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করে।প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে দরজা ভাঙতেই দেখা গেল স্বামী গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং পাশেই খাটে গলায় ওড়না জড়ানো নিথর দেহ পড়ে আছে। ঘরের দেওয়ালে বড় বড় করে লেখা, “”আমাদের এক সঙ্গে জ্বালাবে “”। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আছে অন্ডাল থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে।স্বামী স্ত্রীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য অন্ডালের উখরার ভুয়োপাড়া এলাকায়।।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থানার উখড়া শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারী ভুয়াপাড়া সংলগ্ন এলাকায় আত্মঘাতী স্বামী নীলকণ্ঠ বাউরী (৪৭ বছর) ও তার স্ত্রী লিলি বাউরী (৩৮ বছর) থাকতেন।তাদের কন্যাসন্তানের বিবাহ হয়েছে।তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান রোহিত বাউরি মা-বাবার সাথে থাকলেও রাতে প্রায়শই পাশেই মামার বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যেত।স্থানীয়দের কথায় পেশায় গাড়িচালক নীলকণ্ঠের সাথে তার স্ত্রী লিলির নিত্যদিন ঝগড়াঝাঁটি হত।দুজনের এই অশান্তি প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রী লিলিকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার পরেই স্বামী নীলকন্ঠ বাউরী গলায় দড়ি নিয়ে আত্মঘাতী হন। তাদের একমাত্র সন্তান রোহিত বাউরী আমাদের জানান, “”আমি পাশেই মামার বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যায়।সকালে এসে অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা খুলছে না দেখে আমি প্রতিবেশীদের ডাকি। সবাই এসে দরজা খুলে দেখতে দেখি বাবা ঝুলন্ত অবস্থায় এবং মা খাটের মধ্যে পড়ে আছে। পুলিশকে খবর দিয়েছি। পুলিশ দ্রুত আসে।কালকে অশান্তি হয়েছিল কিনা আমি জানিনা। “”লিলি বাউরি উখড়া বাজারের একটি দোকানে কাজ করতেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু কি কারণে এই চরম সিদ্ধান্ত নীলকন্ঠ বাউরির?ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় উখরার শ্যামসুন্দরপুর কোলিয়ারী সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *