৪ সেপ্টেম্বর, দুর্গাপুর : গত ২৮ শে অগাষ্ট বিজেপির ডাকা বনধের দিন বিকেলে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে নগর নিগম মোড়ে আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসক তিলোত্তমাকে নৃশংস ভাবে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে ডিওয়াইএফআইএর মিছিলে হামলা এবং সিপিএমের দলীয় কার্যালয় শহীদ বিমল দাশগুপ্ত স্মৃতি ভবনে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছিল দুর্গাপুরের সিটিসেন্টার এলাকা। বুধবার দুপুরে তদন্ত শুরু করলো দুর্গাপুরের ফরেন্সিক বিভাগ। চার সদস্যের একটি দল শহীদ বিমল দাশগুপ্ত স্মৃতি ভবন এবং দুর্গাপুর নগর নিগম মোড়ে বোমাবাজির জায়গায় নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। সঙ্গে পুরো ভিডিও করা হয়। এই ঘটনার সাথে কারা জড়িত রয়েছে সেই নিয়েও তদন্ত চলবে বলে জানান ফারেন্সিক আধিকারিকরা।
রাজ্যের পুলিশের ব্যর্থতা ঢাকতে এক সপ্তাহ পর ফরেন্সিক বিভাগকে দিয়ে করা হচ্ছে আইওয়াশ, শাসক দল আর পুলিশকে একসাথে কটাক্ষ করলেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পার্থ দাস। তিনি বলেন,”আরজি করেন নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করছিল ডিওয়াইএফআই ও ছাত্র যুবোরা। তখনই দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বেরিয়ে এসে মিছিলে হামলা চালায়। বোমাবাজি করা হয়। ব্যাপক মারধোর করা হয়। এক সপ্তাহ হয়েছে এখন পুলিশ আর প্রশাসন ব্যর্থতা ঢাকতে ফরেন্সিক বিভাগকে দিয়ে আইওয়াশ করছে। যতদিন না পর্যন্ত বিচার হচ্ছে আমাদের প্রতিবাদ চলছে প্রতিবাদ চলবে।” যদিও তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন,”এই সরকারের সময়কালে ফরেন্সিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে।বাম সরকারের সময়কালে তৃণমূলের লোকেরা বাম নেতাদের নামে অভিযোগ করাই যেতনা।সবটাই লোকাল কমিটির অফিসে বসে নির্ধারিত হতো। সিপিআইএমের জেলা সম্পাদকের মুখের অশালীন ভাষা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। তার মুখের ফরেনসিক পরীক্ষা করানো হবেনা?এর জবাব দেবে জনগণ।”” দুর্গাপুরের ফরেন্সিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তন্ময় কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন,”আমাদের কাছে অভিযোগ গিয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। শহীদ বিমল দাশগুপ্ত ভবন এবং নগর নিগম মোড়ে পরীক্ষা করে নমুনা সংগ্রহ করলাম। তদন্তে যা উঠে আসবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এবং পুলিশের আধিকারিকদের জানানো হবে।””