দুর্গাপুর, ১৪ জূন: আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী কবি দত্তের নাম সরকারিভাবে ঘোষণা করা হলো। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের জন্মের পর থেকে সম্ভাব্য কবি দত্তই প্রথম একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি এই পদে আসীন হলেন। দীর্ঘদিন আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়ীত্ম নিষ্ঠার সাথে পালন করার পর রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে কবি দত্তকে আড্ডার চেয়ারম্যান হিসাবে দেওয়া হল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন তাপস বন্দোপাধ্যায় কে সরিয়ে ফেলা হল? সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী আসানসোল পৌরনিগমের মেয়র পদের কি রদবদল ঘটতে চলেছে?
আসানসোল পৌর নিগমের প্রাক্তন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি নতুন করে মেয়র পদে দেখা যেতে পারে? আসানসোল ও দুর্গাপুর এই দুই শহরকে নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা গড়ে ওঠার পর এই জেলার উন্নয়নের সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করার মূল আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসাবে দুর্গাপুরের কবি দত্ত দায়িত্ব দায়িত্ব পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি দুর্গাপুরের বহু মানুষ। দুর্গাপুরের মানুষের একটা বড় অভিযোগ পশ্চিম বর্ধমান জেলার সদর আসানসোল হওয়ার পর থেকে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনারেটের কার্যালয় থেকে আড্ডার মূল কার্যালয় সহ সরকারি কার্যালয় গুলি সেখানেই রয়েছে।দুর্গাপুরের হোটেল ব্যবসায়ী কবি দত্তকে কয়েক বছর আগে দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত “”স্নেহভাজন “”কবি দত্তকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়। দুর্গাপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির পদ সামলেছেন কবি দত্ত।এবার কবি দত্তর মুকুটে এবার নতুন পালক। কবি দত্ত ফোনে জানান””আসানসোল ও দুর্গাপুর শহরের উন্নয়নকে সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। আসানসোল ও দুর্গাপুর এই দুই টুইন সিটি। এই দুই শহরের উন্নয়নের সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষ। শিল্পের প্রসার ঘটানোর স্বার্থে শিল্প তালুকগুলির সার্বিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমার লক্ষ্য। তবে আমি আসানসোল এবং দুর্গাপুরের সমস্ত মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক সংগঠনগুলির সহযোগিতা কামনা করব। “”