দুর্গাপুর, ১৯ মার্চ: রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগে ৯ জনকে অভিযুক্ত কে গ্রেপ্তার করে আদালতে তুলল পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ । গত সোমবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতলের ডাক্তারের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে ভাংচুর চালায় রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতালের দামি জিনিসপত্র ছাড়াও ভাঙচুর থেকে বাদ পড়েনি রোগীদের পরিষেবার জন্য হাসপাতালে থাকা অ্যাম্বুলেন্স। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ৯ জনকে পাণ্ডবেশ্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হল।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ ডাক্তারের গাফিলতির কারণে এমনটাই জানাচ্ছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। রোগীর মৃত্যুর ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর পরিজনরা। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের আসবাবপত্রসহ আ্যম্বুলেন্স বলেও অভিযোগ। মৃতের নাম বছর জানবি কুমারী,বয়স ১৩ বছর। পাণ্ডবেশ্বরের ফুলবাগান মোড়ের বাসিন্দা। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা জানান “”জানবি কুমারী কে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকেরা। তারপর বিকালবেলা রোগীর পরিবার তাকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আমরা জানায় রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় তাই তার ছুটি দেওয়া যাবে না।

তা সত্ত্বেও রোগীর আত্মীয়রা জোর করে রোগিণীকে ছুটি করিয়ে নিয়ে যায়। ফের আবার কিছুক্ষণের মধ্যে আবার রোগীকে নিয়ে আসে হাসপাতালে ভর্তি করাতে। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরে সে মারা যায়।”” গত সোমবার এই হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল।পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় যে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর আত্নীয় পরিজনেরা হাসপাতালে তান্ডব চালানোর কারনে হাসপাতালের বিপুল সম্পত্তির ক্ষতির পাশাপাশি অন্যান্য রোগী ও তাদের আত্মীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন সেই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই এই গ্রেপ্তারি।