দুর্গাপুর, ১১ ফেব্রুয়ারী : গার্জেন কলের ভয়ে ফিনাইল পান দুই ছাত্রী! অসুস্থ দুই ছাত্রীকে ভর্তি করা হলো দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।শোরগোল পড়ল দুর্গাপুরের স্কুলে। অসুস্থ দুই ছাত্রীর নাম নুসরত জাহান, দীপান্বিতা দত্ত। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার এমএমসি মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া। বিদ্যালয় সূত্রে জন্য গেছে, কয়েকদিন ধরে ওই দুই ছাত্রীর নামে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার ওই দুই ছাত্রীকে ডেকে অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর চেয়েছিলেন ওই শিক্ষিকা। অভিযোগ, শিক্ষিকা অভিভাবকদের ফোন করবে সেই ভয়ে স্কুল ছুটির সময় শৌচালয়ে যায় ওই দুই ছাত্রী। তারপরেই দীপান্বিতা দত্ত তার সহপাঠী নুসরত জাহানকে ফিনাইল খাইয়ে দেয়। নুসরত নিজেও খানিকটা খেয়ে নেয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিদ্যালয়ের জুড়ে। দু’জনকেই তড়িঘড়ি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। দীপান্বিতার কাকা দুলাল দত্তের অভিযোগ,”ওরা তো এখনোও বাচ্চা। মাথার মধ্যে অনেক কিছু আসতে পারে। আমরা তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে বললাম ফিনাইলগুলো অন্য জায়গায় রাখার দরকার ছিল। আমরা এই খবর শুনে দু’জনকে ভর্তি করেছি হাসপাতালে।

“বিদ্যাললয়ের প্রধান শিক্ষক তরুণ ভট্টাচার্য বলেন,”ওরা কয়েকদিন ধরে দুষ্টুমি করছিল। তাই ওদের ডেকে ওদের অভিভাবকদের নম্বর চেয়েছিল। যদি শিক্ষিকা পরিবারের কাউকে ফোন করে বলে দেই তাদের দুষ্টুমির কথা। সেই ভয়েই স্কুল ছুটির সময় শৌচালয়ে গিয়েছিল তারা। স্কুল ছুটির সময় শৌচালয় গুলি পরিষ্কার করা হয়। এখানে একটি ফাঁকা ফিনাইলের বোতল ছিল। সেই বোতলে জল ভরেই একজন আরেকজনকে খাইয়ে দেয়। কোন বাচ্চা যদি দুষ্টুমি করে তাহলে তার পরিবারকে যদি না জানানো হয় তাহলে পরে তাদের পরিবারের লোক কি আমাদের দোষ দেবে। এই কাজ করতে গিয়ে যদি সমস্যায় পড়তে হয় তাহলে তো আর আমাদের স্কুলই চালাতে হবে না। যদিও দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডল বলেন,”দুই ছাত্রী ভর্তি হয়েছে। দু’জনই সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া। ফিনাইল খেয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।”