দুর্গাপুর, ৬ ফেব্রুয়ারী : দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের একটি নামী সোনার দোকানের ম্যানেজারের মৃতদেহ দুর্গাপুরের বীরভানপুরের দামোদরের বিসর্জন ঘাটে ভেসে ওঠে বৃহস্পতিবার সকালে। কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু দামোদর নদ যেহেতু বড়জোড়া থানার অন্তর্ভুক্ত তাই মৃতদেহ বর্জোড়া থানার পুলিশ নিয়ে যায়। মৃতদেহ রাখা হয় বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের একটি নামী সোনার দোকানের ম্যানেজার ছিলেন সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ওরফে লক্ষণ মুখোপাধ্যায়(৫৫ বছর)। সদা হাস্য অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ হিসাবে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বি-জোন তানসেন রোডের বাসিন্দা লক্ষনবাবু।বুধবার বিকেলে লক্ষণবাবু বাড়ি থেকে বাইরে চা খেতে যাচ্ছেন বলে বের হন। তারপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।বেশ কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তুমি বাড়ি না ফেরার পর তার পরিবার আত্মীয় পরিজনেরা লক্ষণ বাবুর খোঁজ শুরু করেন। লক্ষণ বাবুর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় বি-জোন নিউটন ফাঁড়িতেও যান।পুলিশ লক্ষণ বাবুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। আশ্চর্যজনক ভাবে লক্ষণ বাবু বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মোবাইল ফোনটি বাড়িতেই রেখে যান বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সারারাত লক্ষণ বাবুর কোন খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। পুলিশের কাছ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে বীরভানপুরে দামোদরের যে বিসর্জন ঘাট রয়েছে সেখানে লক্ষণ বাবুর মৃতদেহ ভেসে ওঠার খবর জানতে পারে তার পরিবারের লোকেরা। তবে কিভাবে লক্ষণ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হল?প্রাথমিকভাবে লক্ষণ বাবু জলে ডুবে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হল এর পেছনে কোন রহস্য রয়েছে কিনা তার তদন্ত এক যুগের শুরু করেছে বড়জোড়া ও দুর্গাপুর থানার পুলিশ। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী লক্ষণ বাবু ডেইলি লটারির টিকিট কাটতেন। বহুদিন যাবত এই ডেইলি লটারির নেশায় তিনি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে এমন কথাও সূত্র জানা গেছে।আপাতত মৃতদেহ বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগামীকাল ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে লক্ষণ বাবুর মৃত্যুর কারণ কি?পরিবারের পক্ষ থেকে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে নিয়ে এখনো কিছুই বলা হয়নি। সোনার দোকানের কর্ণধার চন্দন দাস আমাদের জানান,””লক্ষণ দীর্ঘদিন ধরে আমার দোকানের একজন বিশ্বস্ত কর্মী ছিল। তার সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। কি কারনে তার মৃত্যু হল তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তার এই মৃত্যু আমাদের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। পুলিশের কাছে অনুরোধ তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে ? তার নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে? তা দ্রুত তদন্ত করে জানানো হবে। “”আগামীকাল লক্ষণ মুখোপাধ্যায়ের মৃতদেহ ময়না তদন্ত হবে বাঁকুড়া জেলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে।
