দুর্গাপুর, ৩ জানুয়ারি :ডিহাইড্রেসনে বমি, পায়খানা করতে থাকা জোয়াল ভাঙ্গার বাসিন্দা গোবিন্দ বাউরী নামের ছয় বছরের এক নাবালককে উখরার মাধাইগঞ্জ রোডের পাশে ডা: রাজেশ মাঝির চেম্বারে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। অভিযোগ গোবিন্দকে চারটি ইনজেকশন দেওয়ার 10 মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়। এরপরেই ওই ডাক্তারের চেম্বারে হুলস্থুল কান্ড ঘটে।ঘটনাস্থলে খবর পেয়ে তড়িঘড়ি আসে অন্ডাল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতার ছড়া ইটের আঘাতে অন্ডাল থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে দাঁড়ায় উখড়া হাটতলা রোড।অভিযুক্ত চিকিৎসককে অন্ডাল থানার পুলিশ উত্তেজিত জনতার রোষের হাত থেকে বাঁচাতে থানায় নিয়ে যায়। মৃত গোবিন্দ বাউরির আত্মীয় কুমারডিহির বাসিন্দা রবিন বাউরির অভিযোগ, “”মাত্র ছয় বছর বয়সী অসুস্থ গোবিন্দকে কি করে ডাক্তার চারটি ইঞ্জেকশন দিল? এত ইঞ্জেকশন নেওয়ার ক্ষমতা কি গোবিন্দর মধ্যে ছিল? ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মাত্র ছয় বছর বয়সী গোবিন্দের মৃত্যু হল।

পুলিশ ওই ডাক্তার কে নিয়ে চলে গেল। আমরা চাই ওই ডাক্তারের শাস্তি। “”বমি পায়খানা নিয়ে পাণ্ডবেশ্বর এর একটি বছর ছয়ের নাবালক গোবিন্দকে ডা: রাজেশ মাঝির চেম্বারে। অভিযোগ ডাক্তারের চেম্বারে আনার পর একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর ছেলেটির মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের সদস্যরা এবং উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা ডাক্তারের চেম্বারে ভাঙচুর চালায়। বাধা দিতে গেলে অন্ডাল থানার পুলিশের উপর ইঁট, পাটকেল ছুঁড়লে স্থানীয় বাসিন্দারা আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এসিপি(অন্ডাল, পান্ডবেশ্বর) র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী যায় ঘটনাস্থলে। মূলত পরিবারের লোকেদের অভিযোগ চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে তাদের পরিবারের ছোট্ট নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। সেই ইনজেকশনটি কি ছিল? তার দেওয়া মাত্র কেন গোবিন্দর মৃত্যু হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃত নাবালকের আত্মীয়রা। কার্যত নাবালকের মৃত্যুর পর গোটা এলাকার রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন রাখা হয়েছে।আহত পুলিশকর্মীদের কে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।