স্বল্পবসনাদের নাচ,দেদার খানাপিনা,ককটেল পার্টির মজলিসে অপেক্ষা নিউ ইয়ারের

দুর্গাপুর, ৩১ ডিসেম্বর : আর মাত্র কয়েকঘন্টা পরেই আরও এক নতুন অধ্যায়,এক নতুন বছরের শুরু।নতুন ক্যালেন্ডার,নতুন সাজে সেজে উঠেছে গোটা বিশ্ব।এক কোনায় থাকা পাড়া গাঁয়ের বাসিন্দা থেকে মেগাসিটি,ফুটপাতের সংসার থেকে মফ:স্বলের বাসিন্দারা নিজের নিজের ইচ্ছামত ইংরাজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তৈরি।

শহর দুর্গাপুরে ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় বর্ষবরণের রাতের জন্য অপেক্ষা।

দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ও বিধাননগর শহরের এই দুই জায়গা অত্যন্ত অভিজাত এলাকা হিসাবেই প্রসিদ্ধ। এই দুই এলাকাতে বেশ কয়েকটি হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল, ফুড কোর্ট,বার, থাকার সুবাদে শহর দুর্গাপুরের ফোকাস এই দুই জায়গাতেই। বর্ষবরণের রাতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামতেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের থিকথিকে ভিড়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বেসরকারি তিনতারা হোটেল গুলিতে বর্ষবরণের রাতে বালতি পাওনা হিসাবে নিয়ে আসা হচ্ছে ভিনদেশি স্বল্পবসনাদের।হরেক রকম মায়াবী রঙিন আলোয় বিদেশেনীদের মঞ্চের উপর বলিউড কিংবা টলিউডের বিখ্যাত গানের তালে তালে নেচে ওঠা। এটাই যেন বাড়তি আকর্ষণ। তাদের সাথে সাথে উপস্থিত বর্ষবরণের আনন্দে মাতোয়ার নারী পুরুষেরাও কোমর দোলা তে বিন্দুমাত্র কসুর করেন না। ককটেল ডিনার, কাপেলদের জন্য বিভিন্ন রকম হোটেলে হরেক রকম অফার। জমাটি আয়োজন।

টেবিলে শীতের রাতে তপ্ত চাইনিজ,কন্টিনেন্টাল আর তার সাথে বিদেশি সুরার পাত্র সবমিলিয়ে জমজমাট বর্ষবরণের প্রাকলগ্ন।এক লহমায় ১৭° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাতেও যেন দুর্গাপুরে এক তপ্ত পরিবেশ দেখা গেল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই।দুর্গাপুরের আজকের ছবি দেখে এই শহরও যে বর্ষবরণের আয়োজনে দেশের অগ্রগণ্য শহরগুলির থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই তা যেন স্পষ্ট হল আবারও।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ