দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বাড়ছে জল ছাড়ার পরিমান,দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় কি বন্যার আশঙ্কা?

দুর্গাপুর : টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জেরবার দক্ষিণবঙ্গের সাথে শিল্পাঞ্চলেও। অতি বৃষ্টির কারণে দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়ে এখন ৮৪.৫৫০ কিউসেক। পুজোর মুখে কি তাহলে বন্যার আশঙ্কা দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় অবস্থিত তিন জেলায়? তবে এই জল ছাড়ার পরিমান পাঞ্চেত বা মাইথনের জল ছাড়ার কারণে নয় বলে সেচ দপ্তর সূত্রে খবর। গত ২৪ ঘন্টায় দুর্গাপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৭০ মিলিমিটার। আসানসোলে বৃষ্টির পরিমাণ ১৫১. ৪০ মিলিমিটার।
পশ্চিম বর্ধমানে অতি বৃষ্টির কারনেই দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজে থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে।

এই বৃষ্টিতে বেশ কাকসা সহ বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা কম। এই বৃষ্টির জের জলমগ্ন হয়েছে চাষের জমি ও।যদিও এখনো পর্যন্ত সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী ঝাড়খন্ড ও বিহারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অতিমাত্রায় না হওয়ার কারণে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়নি। তবে যেভাবে এখনো দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঝুড়ো হওয়ার সাথে সাথে একাগাড়ে বৃষ্টিপাত হচ্ছে তাতে দামোদরের জল আরো বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আসানসোল ও দুর্গাপুরের যে ছোট ছোট নদ নদী গুলি আছে এবং বিভিন্ন লালা গুলি থেকে জল গিয়ে পড়ছে দামোদরে। যে কারণে দুর্গাপুর ব্যারেজে জলের পরিমাণ বেড়েছে গত দুদিন। মূলত দেখা যায় যে এক লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হলে দামোদরের নিম্ন অববাহিকার তিন জেলা পূর্ব বর্ধমানের বেশ কয়েকটি ব্লক হুগলি ও হাওড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইতিপূর্বে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে হুগলি জেলার বেশ কয়েকটি ব্লককে।পুজোর মুখে আচমকায় নিম্নচাপের কারণে একটানা এই বৃষ্টিপাতের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। বৃষ্টি কখন থামবে সে ব্যাপারে এখনো সঠিক কেউ কিছুই বুঝতে পারছেন না। মঙ্গলবার পর্যন্ত যদি এই বৃষ্টিপাত চলে তাহলে দামোদরের জল যে আরো বাড়বে এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণও যে বাড়বে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *