দুর্গাপুর, ২৯ জুলাই: নিজের শ্যালিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে করেছিল সহবাস। বাড়ি মেরামতের নামে শ্যালিকার কাছে নিয়েছিল সোনার অলঙ্কার। তারপরেও করেনি বিয়ে। সোনার অলঙ্কার চাইতেই শ্যালিকাকে আবার টানা,হেঁচড়া করে গ্রেফতার সিপিআই(এম)এর কৃষক সভার নেতা। জানা গিয়েছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার সগড়ভাঙা এলাকার মতলব আলী দুর্গাপুর পূর্ব ২ এর সিপিআই(এম) এরিয়া কমিটি এবং কৃষকসভার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য। এলাকাতেই মতলবের শ্বশুর বাড়ি। শ্যালিকার বিয়ে হয়েছিল বীরভূমের দুবরাজপুরে। শ্যালিকার স্বামী মারা যায় ২০১৫সালে। অভিযোগ, তারপর থেকেই শ্যালিকাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশ কয়েকবার সহবাসও করে সিপিআই(এম) নেতা। সগড়ভাঙা এলাকায় তাঁর বাড়ি মেরামতের জন্য শ্যালিকার কাছে ৮ ভরি সোনার অলঙ্কার নেন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ছয় লক্ষ টাকা। সাত বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে বিয়েও করেনি আর সোনার অলঙ্কারও ফেরত দেয়নি “” গুনধর””জামাইবাবু বলে অভিযোগ ।ওহহহ কয়েকদিন ধরে সেই সোনার অলঙ্কার ফেরত চাইছিল শ্যালিকা। রবিবার সোনার অলঙ্কার ফেরত নেওয়ার জন্য শ্যালিকাকে দুর্গাপুরে ডাকে মতলব আলী।
মতলবের বাড়িতে শ্যালিকা আসতেই আবার হাত ধরে টানা,হ্যাঁচড়া শুরু করে। কোনওক্রমে সেখান থেকে বেরিয়ে কোকওভেন থানায় মতলবের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতেই বাড়ি থেকে মতলবকে গ্রেপ্তার করে কোকওভেন থানার পুলিশ। সোমবার ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। যদিও সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য তথা কৃষক সভার সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মতলব আলী বলেন আমাকে ফাঁসানো হয়েছে রাজনৈতিক চক্রান্ত করে।সিপিআই(এম)এর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সিদ্ধার্থ বসু বলেন,””মতলব আলীকে ফাঁসানো হল চক্রান্ত করে।””অন্যদিকে টিএমসি র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সহ সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন,””সিপিআই(এম) নেতারা সব হারিয়ে এঝন চারিত্রিক অধ:পতনে। এদের শ্যালিকা অভিযোগ করলেও তাতেও ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।এরা আবার মুখে বড় বড় কথা বলেন।””