দুর্গাপুর, ৪ জুলাই: অতি সম্প্রতি রানীগঞ্জ এবং হাওড়াতে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনার পর তাদেরকে শিক্ষা নিয়ে দুর্গাপুরে বুধবারে আয়োজিত হলো সোনার দোকানের মালিক, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক গুলির ম্যানেজার এবং স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানার পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ জরুরী বৈঠক।
দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে এই জরুরী বৈঠক আয়োজিত হয় বৃহস্পতিবার বেলা 11 টা থেকে। এই বৈঠকে দুর্গাপুর থানা এলাকার বিভিন্ন বাজারে সোনার দোকানের মালিক ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা এবং স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলির আধিকারিকদের পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতন করা হয়। পুলিশের পক্ষ অভিযোগ তুলে বলা হয় দুর্গাপুরের বিভিন্ন ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা পুলিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন না। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ কার্তার সিং অভিযোগ তুলে বলেন, “সিটি সেন্টারের যে সমস্ত বেসরকারি ও সরকারি ব্যাংক গুলি রয়েছে তাদের ম্যানেজারদের কাছে আমার নাম্বার পর্যন্ত নেই। আমরা যখন ব্যাংকগুলিতে পরিদর্শনে যায় তখন আমাদেরকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ব্যাংকের ম্যানেজাররা আমাদেরকে গুরুত্ব দিতে চান না। “”অন্যদিকে এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় বলেন, “”সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এইসব আর্থিক লেনদেনকারি সংস্থা গুলির সাথে এবং সোনার দোকানের মালিকদের সাথে জরুরী বৈঠক করলাম। জরুরী কালীন সময়ে কি কি করতে হবে সেই সমস্ত পদক্ষেপ আমরা তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে এই বৈঠক।””এই বৈঠকের শেষে বিভিন্ন সোনার দোকানের মালিক এবং ব্যাংক ম্যানেজাররা একযোগে গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠক যে তাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল এমন কথা নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন।সিআই(এ) রণবীর বাগ এবং দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ প্রসেনজিৎ রায় এই বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও দুর্গাপুর থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ফাঁড়ির অফিসার ইন চার্জরা গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।।