দুর্গাপুর, ২৯ জুন: প্রথমে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার মীরেপাড়া থেকে গ্রেপ্তার হয় বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শাহাদাত নামের গ্রুপের সদস্য মদম্মদ হাবিবুল্লাহ। তাঁকে জেরা করে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে গ্রেপ্তার হয় নবদ্বীপের জঙ্গি শেখ হারেজ। তারপরেই চেন্নাইয়ে আরো জঙ্গি শেখ আনোয়ার খোঁজ পায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
কে এই শেখ আনোয়ার? পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের কুলসোনা এলাকার বাসিন্দা। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। তিন বোন আর বাবা-মা আছে বাড়িতে। চেন্নাইয়ে আইরন করে অর্থ উপার্জন করে বাড়িতে পাঠাতো বলেও পরিবারকে আর এলাকাবাসীদের জানাতো।
এসটিএফ সূত্রে খবর, আল কায়দার মতাদর্শে বিশ্বাসী আনসার আল ইসলাম নামের জঙ্গি সংগঠনকে ২০১৭ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। তারপর ওই জঙ্গী সংগঠনের সদস্যরা শাহাদাত নামের একটি গ্রুপ তৈরি করে সদস্য সংগ্রহ শুরু করে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলমানদের উপর অত্যাচারের ভুনো ভিডিও সংগ্রহ করে ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার ওপর নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে করা হতো সদস্য সংগ্রহ। এই জঙ্গি সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল কাঁকসার মহম্মদ হাবিবুল্লাহ। তাঁকে জেরা করেই প্রথমে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে শেখ হারেজ এবং চেন্নাই থেকে শেখ আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এক যুবকের সাথে ধর্মীয় জলসায় আলাপ হয় আনোয়ারের। তারপর ‘উম্মান নাসিহার’ নামের একটি অনলাইন ব্লগে কাজ করার কথা জানায় সে। তারপর সেই ব্লগ থেকে নানান ধর্মীয় উস্কানি মূলক এবং নানা দেশবিরোধী খবর ছড়িয়ে দিত। চেন্নাইয়ে বসে এই কাজই চালাত সে। শুক্রবার দেশদ্রোহীতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় আনোয়ারকে। তারপরে কাঁকসা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কাঁকসা থানার পুলিশ ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তারপরেই এসটিএফের কর্তারা শেখ আনোয়ারকে নিজেদের হেজাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।