দুর্গাপুর, ২৭ জুন: দীর্ঘ ১৩ বছরের শাসনকালে এমন রনংদেহী মূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে আগে দেখা যায়নি। জেলায় জেলায় বেআইনি ভাবে জমি দখল, সরকারি জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ, বাজার এলাকায় ফুটপাত দখল করে রাস্তাঘাট ঘিঞ্জি করে তোলা এসব বন্ধের বিরুদ্ধে কার্যত কড়া হুশিয়ারি মন্ত্রী হামলা থেকে পুরসভা পৌরনিগম এবং উন্নয়ন পর্ষদ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকেও। পুলিশকেও এই বিষয়ে তোপ দাগতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী।
আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে দুর্গাপুর নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,””দুর্গাপুরের ৬ জন অপদার্থ তাদের মধ্যে একজন বাদে। এদের জায়গায় নতুন লোকদের খুঁজতে হবে। “”কিন্তু কাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বললেন? মনে করা হচ্ছে দুর্গাপুর নগর নিগম পাঁচজন প্রশাসক মন্ডলীর দ্বারা পরিচালিত। অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় মুখ্য প্রশাসক তার পৌরহিত্যে আরো যে চারজন প্রশাসক মন্ডলীতে রয়েছেন তারা হলেন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাখি তিওয়ারি, ধর্মেন্দ্র যাদব এবং দীপঙ্কর লাহা। এদেরকেই কি কার্যত মুখ্যমন্ত্রী আজ “”অপদার্থ “”বললেন? এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কড়া সমালোচনা করলেন পুলিশেরও।এক শ্রেনীর নেতাদের সাথে পুলিশের গোপন আঁতাতের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন খোদ পুলিশ মন্ত্রী। বিরোধীরা বলছেন ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই দাওয়াই আসলে নির্বাচনকে সামনে রেখে চমক। কিন্তু আদৌ কি বিরোধীদের কথা সত্যি? সংবাদ মাধ্যমকে সামনে রেখে সবাইকে সাক্ষী রেখে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত কড়া ধমক দিচ্ছেন। অনেকেই এমন কথা বলছেন কয়েক বছর আগে যদি মুখ্যমন্ত্রী এমন ভূমিকা গ্রহণ করতেন তাহলে সরকারি জমি লুটপাট হত না। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নে বসে এই ধমকের কতটা প্রভাব পড়ে জেলায় জেলায়?