চূড়ান্ত মদ্যপ অবস্থায় সেখ বাহাদুরের মৃত্যু হয়েছিল জনগণের তাড়া খেয়ে পিকআপ ভ্যানের ছাদ থেকে পড়ে, মৃত্যুর ঘটনার পুনর্নির্মাণে জানালো আশরাফুল

দুর্গাপুর, ২৬ জুন:গত ১৬ ই মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার আরতি গ্রামের ২৮ বছরের যুবক সেখ বাহাদুরের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের নেতাজি সুভাষ রোড থেকে। তার মৃতদেহের কাছে থেকে উদ্ধার হয় একটি পিকআপ ভ্যান।এই ঘটনার পর থেকেই সেই সময় বাহাদুরের সঙ্গে থাকা তার গ্রামের বন্ধু সেখ আশরাফুল এবং আরো দুজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত শেখ বাহাদুর কে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বাহাদুর কে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। এরপরেই দুর্গাপুর থানার পুলিশ তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে। শুরু হয় শেখ আশরাফুল এবং আরও দুজনের খোঁজে তদন্ত।

দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর সোমবার বীরভূম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ আশরাফুলকে। বুধবার শেখ আশরাফুলকে নিয়ে শেখ বাহাদুরের মৃত্যু রহস্য উদঘাটন করতে শেখ বাহাদুরের মৃত্যুর পুনঃনির্মাণ করে দুর্গাপুর থানার তদন্তকারী অফিসাররা। সেখ আসরাফুল প্রথমেই পুলিশকে জানায় যে তারা মেনগেটের একটি বারে তিনজন প্রথমে আসে।

পরে আমরাই মোড় থেকে আসে শেখ বাহাদুর। চারজন তারা মদ্যপান করে। তারপর বাইক সেখানে রেখে দিয়ে চারজন ওই পিকআপ ভ্যান নিয়ে মেইনগেট, লিংক রোড, সেকেন্ডারি রোড, শর্ট রোড দিয়ে শিবাজী রোডের একটি জায়গা থেকে পিকআপ ভানে একটি গরু গাড়িতে তোলে। স্থানীয় লোকজন তা দেখতে পেয়ে তাদেরকে তাড়া করে। সেই সময় গাড়ির ছাদে মধ্যপ অবস্থায় বসে থাকা শেখ বাহাদুর রাস্তায় পড়ে যায়। এবং তারা তিনজন দুই দিকে ছুটে পালায়। দুজন ছুটে পালায় বিজু পাড়ার দিকে এবং আশরাফুল নিজে পুলিশকে জানায় সে সবুজ নগরের জঙ্গলের দিকে ছুটে পালায়। আশরাফুল ধরা পড়লেও আরও যে দুজন ছিল তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে দুর্গাপুর থানার তদন্তকারী অফিসাররা।

আপাতত শেখ বাহাদুরের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে বুধবার শেখ বাহাদুরের মৃত্যুর পুনর্নির্মাণের ঘটনায় পুলিশকে শেখ আশরাফুল এমন কথায় জানায়।কিন্তু আদৌ কি আশরাফুল সত্যি কথা বলছে? তাই পুলিশ চাইছে বাকি দুজন যারা ছিল তাদের বয়ান জানতে।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *