দুর্গাপুর, ২১ এপ্রিল: তৃণমূল নেতাদের মদের দোকান বন্ধের প্রতিবাদ করাই স্বামীকে ঠিকাদারির কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফের কাজে ফেরানোর দাবি তুলেছিলেন গৃহবধূ। তৃণমূল নেতাদের সাথে রাত্রিবাস করলেই স্বামীর কাজ ফিরবে। সেই কুপ্রস্তাবে সম্মতি না দেওয়াই লাগাতার হুমকির ভয়ে আত্মঘাতী নোট লিখে গৃহবধূর আত্মঘাতীর চেষ্টা। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দুর্গাপুরেই। দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবীন পল্লী এলাকার বাপি অঙ্কুর নামের এক ব্যক্তি দুর্গাপুরের ইন্দোআমেরিকান মোড়ের একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ঠিকাদার ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু অঙ্কুর নবীন পল্লী এলাকায় সুকুমার বাউরি, বিল্লি এবং বিশু নামের এলাকার তিন তৃণমূল নেতার অবৈধ মদের দোকানের প্রতিবাদ করে। তারপরেই বাপি অঙ্কুরকে ঠিকাদারি থেকে সরিয়ে দেয় ২৩নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব বলে অভিযোগ।
তারপরেই স্বামীর ঠিকাদারি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন রিঙ্কু অঙ্কুর। তারপরেই তৃণমূলের তিন নেতা মিলে রিঙ্কুকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। সেই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। সেই ভয়েই সুইসাইট নোট লিখে শুক্রবার দুপুরে আত্মঘাতীর চেষ্টা করে ওই গৃহবধূ। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে স্থানান্তর করা হয় বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।স্থানীয় বাসিন্দা অপর্ণা বাউরি দাবি করেন,”গোটা এলাকায় মদ আর জুয়ার দোকান বাড়ছে।বিল্লি,সুকুমার,বদল এবং সুনীল নামের তৃণমূলের নেতারা এই অবৈধ কাজের সাথে যুক্ত। সেই মদের দোকান বন্ধ করতেই প্রতিবাদে নেমেছিল আমাদের নিয়ে রিঙ্কু লোকসভা নির্বাচনের আগে। নির্বাচনে জিতে যেতেই এলাকায় মারধর এবং অত্যাচার শুরু করেছে। রিঙ্কুর স্বামীকে ঠিকাদারি কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুললে রিঙ্কুকে ওদের সাথে রাত কাটাতে হবে বলে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আজ এইভাবে আত্মঘাতীর চেষ্টা করেছে। মৃত্যুর মুখে আজ রিঙ্কু। দ্রুত ওদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবো।” যদিও দুর্গাপুরের ২৩নং ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরপিতা দেবব্রত সাঁই বলেন,”একটা ঝামেলা হয়েছিল শুনেছিলাম। দুই পাড়ার মধ্যে মদের দোকান নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়ে। আমি উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও এক পক্ষ আসেননি। তারপর এতকিছু হয়েছে এই জানলাম। পুলিশ কড়া ব্যাবস্থা নেবে।”