দুর্গাপুর, ১৮ জুন: সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তথা দুর্গাপুরে বাম আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে ওঠা পঙ্কজ রায় সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পর এবার সিপিআইএমের আরো এক জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কি তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিতে চলেছেন? সূত্র পাওয়া খবর অনুযায়ী কাঁকসার একসময়ের “”দোর্দন্ডপ্রতাপ “” সিপিএম নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে সাথে যোগাযোগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের ইচ্ছে প্রকাশ করে। উল্লেখ্য দুর্গাপুর মহাকুমার কাঁকসা ব্লকে ২০১১ সালের পর থেকেই প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এক সময় এই ব্লকের দেবদাস বক্সী বনাম পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল ভুগতে হয়েছে দলকে। এরপরেও ছোট ছোট বিভিন্ন গোষ্ঠীতে বারবার কাঁকসায় শাসকদল কোণঠাসা হয়েছে।
কাঁকসা সেভাবে শাসক দল মাথা তুলে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। দুর্গাপুর পূর্ব এবং গলসি বিধানসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ কাঁকসা ব্লক। বিরাট আয়তন যুক্ত এই ব্লকে দেবদাস বক্সির পর বারবার ব্লক সভাপতি বদল করেও দলের খুব একটা লাভ হয়নি। সদ্য যে লোকসভা নির্বাচন পার হয়েছে আজও কাঁকসা সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে সিংহভাগ পঞ্চায়েতে পরাজিত হয়েছে শাসক দল। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদার কাঁকসা ব্লকের উন্নয়নকে বরাবর বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রদীপবাবু নিজে কাঁকসার উন্নয়নের কাজ তদারকি করেন কিন্তু তারপরেও এই ব্লকে ঘাসফুল শিবিরের অন্তঃসারশূন্য অবস্থা তাতে করে এই ব্লকে ২০১১ এর পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সংগঠন সেভাবে বলিষ্ঠ আকার ধারণ করতে কোথাও যেন ফাঁক থেকে যাচ্ছে। তাহলে কি এবার কাঁকসার বাম সংগঠনের নেতাদের দেখা যাবে ঘাসফুল শিবিরে?তারাই কি এবার তাহলে ঘাসফুল শিবিরের কাঁকসার সংগঠন দেখভালের বড় দায়িত্ব সামলাবেন? ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির যোগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের কাঁকসার বাম নেতাদেরকে সামনে রেখেই কি লড়াই নামার প্রস্তুতি? সূত্র খবর কাঁকসার একসময়ের সংগঠনের একেবারে শেষ কথা এমন এক নেতা যোগাযোগ করেছেন তৃণমূল শিবিরের সাথে। তার যোগদান সময়ের অপেক্ষা। তার পাশাপাশি কাঁকসার আরও এক বলিষ্ঠ সংগঠক তথা সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়া পঙ্কজ রায় সরকারের “”অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ”” আরও এক সিপিআইএম নেতা যোগ দিতে চলেছেন রাজ্যের শাসক শিবিরে বলেও সূত্র মারফত জানা গেছে। যদিও এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “”এখনই এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করব না। তবে আগে আগে দেখুন হচ্ছেটা কি? তৃণমূল কংগ্রেস একটি পরিবার। সেই পরিবার বড় হবে এটাই তো স্বাভাবিক।””এক সময় বাম দুর্গ অবিভক্ত বর্ধমানে বাম শিবিরে বড় ভাঙ্গন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই বাম নেতাদেরকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে দ্বিমত দেখা দিয়েছে। কিন্তু তার উত্তরে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, “”যারা ভাল মানুষ। যারা মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে কাজ করাটাই অত্যন্ত সম্মানের। তাদেরকে দলীয় নির্দেশ মেনে দলে নেওয়া হবে। “”দুর্গাপুর মহকুমার বাম শিবিরে পরবর্তী বড় ধাক্কা কি হতে চলেছে তা বলবে সময়।।