বাঁকুড়া , ১০ জুন: বিগত প্রায় একসপ্তাহ সময়কালে একটি বাঁদরের বাঁদরামিতে আতঙ্কিত বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বাদিন্দারা।এখনও পর্যন্ত এই বাঁদরের কামড়ে জখম দুই স্কুল ছাত্রসহ প্রায় ১২ জন।বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে এই বাঁদরটিকে ধরতে ব্যার্থ।কার্যত এই বাঁদরের কামড়ের আতঙ্কে বড়জোড়ার আট থেকে আশি সকলের ঘুম ছুটেছে।।
আজ প্রায় একসপ্তাহ সময়কাল ধরে একটি বাঁদরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভীত আতঙ্কিত বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়ার বাসিন্দারা।বড়জোড়ার রাজারবাঁধ,বিজয় ময়দান এলাকার বাসিন্দাদের অনেককে আক্রমণ করার পরে আজ সকাল থেকেই বাঁদরের আক্রমণ শুরু হয় বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে।সকালে এই বিদ্যালয়ে দুইজন ছাত্রকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করার পরে আবার দুপুরে ছাত্ররা ঠিক যখন মিড-ডে মিলের খবার খাবে তখন এসে হাজির মুর্তিমান এই উগ্ররুপী বাঁদরটি।ছাত্ররা আতঙ্কে ক্লাসে ঢুকে পড়ে।দরজা,জানালা লাগিয়ে দেয়।বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ বামদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “””সকালে আমাদের বিদ্যালয়ে অন্য একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে চলে। দুজন ছাত্রকে এই বাঁদরটি কামড়ে দিয়েছে। তারপর ফের দুপুরবেলায় আসে ছাত্রদেরকে তাড়া করলে তারা আতঙ্কে ক্লাসে ঢুকে পড়ে। আমরা বনদপ্তরকে খবর দিয়েছিলাম। তারা এসে বাঁদরটিকে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। “”অন্যদিকে বাঁদরের আক্রমণে আহত সুনিতি পাজা নামের এক মহিলা জানান, “” বাড়ির উঠানে কাজ করছিলাম। সেই সময় হঠাৎ বাঁদরটি আমার বুকের মধ্যে চড়ে বসে। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।আমার হাতে আঁচড়ে না কামড়ে দেয় বুঝে উঠতে পারিনি।আমরা আতঙ্কিত। “”
বনদপ্তরের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে এই বাঁদরটিকে ঘুমপাড়ানি ইনজেকশন দিয়ে ধরার চেষ্টা চালিয়েও এখনো পর্যন্ত তা পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া এলাকায়।