বর্ধমান,৪ জুন: অষ্টম রাউন্ডে ৭৮ হাজার ভোটে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। আর তার সাথে সাথেই বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা হতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের। ডিজে বাজিয়ে, সবুজ আবির মেখে, বাজি পটকা ফাটিয়ে উল্লাসে মেতে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। কার্যতো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদের জয় যে শুধুমাত্র আর সময়ের অপেক্ষা তার আঁচ পেয়ে শাসক দলের নেতাকর্মীরা চরম আদ্রতা ও গরম কে উপেক্ষা করেই বর্ধমানের গণনা কেন্দ্রের বাইরে উল্লাসে মেতে উঠলেন।
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এই খারাপ ফলের জন্য ময়না তদন্ত শুরু হয়ে গেল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ছিয়াত্তর হাজার ভোটে জিত পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়া। সেই লিডকে সঙ্গী করেই তিনি এই কেন্দ্রে জয়লাভ করেছিলেন মাত্র ২৪০০ ভোটে। কিন্তু এবার দুর্গাপুর পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের ফল অত্যন্ত হতাশজনক। দুর্গাপুর পশ্চিমকেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও, দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী টেক্কা দিলেন বিজেপির ডাকাবুকো প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে। এই কেন্দ্রের মোট ভোটার প্রায় সাড়ে 18 লক্ষের মত। তার মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক মহিলা ভোটার। নির্বাচনের ফল বেরোতেই যেটুকু আঁচ পাওয়া যাচ্ছে তাতে মহিলা ভোটারদের বড় অংশের ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই গেছে। এবং তার অন্যতম প্রধান কারণ যে লক্ষীর ভান্ডারের বরাদ্দ অর্থ দ্বিগুণ করে দেওয়া তার বলার অপেক্ষা রাখে না।।