দুর্গাপুর, ৬ মে: শেষমেশ তাহলে “” অপুর মান ভাঙলো””,?তার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম প্রধান অভিভাবকও অপুকে দীর্ঘদিন পরে মঞ্চে দেখে “” অপুকে দেখে ভালো লাগলো “”বললেন দুর্গাপুরের গ্যামন ব্রিজ ময়দানের জনসভায়। আর দিদির মুখে একথা শুনেই উপস্থিত দর্শকদের বড় অংশ করতালি দিয়ে ভরিয়ে দিলেন সভাস্থলকে।
আর দীর্ঘদিন পরে ” অপু””তার রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম প্রধান অভিভাবক “” দিদি””র কথাতেই তার সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন।দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের দুবারের প্রাক্তন বিধায়ক তথা দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন মেয়র অপুর্ব মুখোপাধ্যায় তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বললেন,””দীর্ঘ প্রায় ৪-৫ বছর পরে আমি মঞ্চে বক্তব্য রাখছি।আমি বলব মা দের কাছে আগামী ১৩ মে সকালেই আপনারা ভোট দিয়ে এসে রান্না করবেন আর পুরুষদের ভোট দিতে পাঠাবেন।””মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অপুর্ব মুখোপাধ্যায় এর স্বর্গীয় পিতা আনন্দ গোপাল মুখোপাধ্যায়ের সাথে তার নিবিড় সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তাহলে ২০১৬ র বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে রাজনৈতিক “” নির্বাসনে””চলে যাওয়া অপু কি ফের ফিরলেন সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনে?কলকাতার এক নেতা যাকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক করেছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারপরে সেই পর্যবেক্ষকের কিছু কথাতেই মন ভেঙেছিল অপুর বলে জানা গিয়েছিল তৃনমূল সুত্রে।তারপর অপুও “”রাজনৈতিক সন্ন্যাস “” জীবন যাপন করছিলেন।কিন্তু আজও তিনি যে ঘাস ফুল শিবেরের বিশ্বস্ত সৈনিক তা প্রমান করলেন তার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় নেত্রীর সামনেই।।