দুর্গাপুর, ২৯ এপ্রিল : সোমবার দুপুরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি তিনতারা হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার বিভাগীয় মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। হাইকোর্ট এর প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে তমলুকে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার পর বিচার ব্যবস্থা প্রশ্ন চিহ্নর মুখে পড়ে যায়। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিচার আইন মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “”বিচার ব্যবস্থা যেমন স্বাধীন ও স্বতন্ত্র তেমনই একজন বিচারপতি অবসর নেওয়ার পর স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। “”তার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর তার রাজনৈতিক আঁতুরঘরে দাঁড়িয়ে এ রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের এ রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। “” অভিজিৎ গাঙ্গুলীকে প্রার্থী করে বিচার ব্যবস্থার ওপর প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপি””। তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে সমালোচনায় সরব হলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ঢাক বাজিয়ে শুরু করলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের কর্মীরা।
ঝাঁজরা থেকে লাউদোহা পর্যন্ত চলে প্রচার। তারই মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাবুল সুপ্রিয় বলেন,”বিজেপি এর আগেও প্রধান বিচারপতিদের প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভ দেখিয়েছে। পাঁচ-ছ হাজার চাকরিপ্রার্থীর কিছু ত্রুটি থাকতে পারে। তা বলে ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর উপর হঠকারী সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের দিক থেকে আমরা দেখছি, যা সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাচ্ছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার ব্যবস্থার ওপর কোথাও না কোথাও প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়ে গেছেন। বিজেপির কারনে বিচারব্যবস্থা যে এদিক-ওদিক হচ্ছে। বিচারব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের যে ভরসা সেই ভরসার উপর বিজেপি প্রভাবিত করছে। নতুন কিছু নয় এর আগেও বিচারপতিদের প্রভাবিত করেছে বিজেপি।””