দুর্গাপুর, ২৬ মার্চ: দুর্গাপুরে বিতর্কিত মন্তব্য করার মধ্য দিয়ে এই রাজ্যের মিডিয়ার লাইন লাইটে থাকেন বিজেপির ডাকাবুকো নেতা দিলীপ ঘোষ। দুর্গাপুরে প্রাতঃ ভ্রমণে প্রচার শুরু করার সাথে সাথেই দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য, “”কোনও সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয় না । আমি লালু প্রসাদ যাদবের, মুলায়ম সিংহের সরকার দেখেছি। পুলিশ অফিসারদের সাথে আমি কথাও বলি না। এমন কিছু যেন না করেন যাতে ঘরে বসে টিভিতে নির্বাচন দেখতে হয়। তারা তাদের কাজ করুন আমরা আমাদের কাজ করব। “”দুর্গাপুর থেকে এক প্রকার পুলিশকে হুঁশিয়ারি বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ ময়দানে মঙ্গলবার সকালে প্রাতঃভ্রমণের মধ্য দিয়ে এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। “”কীর্তি আজাদ প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার।
তাকে আমি দাদার মত সম্মান করি। তিনি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিন্তু বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কতটুকু চেনেন তিনি? ভাতার -মন্তেশ্বর এগুলো কি উনি চেনেন? “”মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ ময়দানে প্রাত:ভ্রমনের পর ডাকাবুকো দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দিলেন, “” আগে এখানকার মানুষ আমাকে আশীর্বাদ তো করুন তারপর না হয় আমি আমার ভোটার কার্ড এখানেই পরিবর্তন করে নিয়ে আসবো। “”এরপরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন “”সন্দেশখালিতে বুদ্ধিজীবীরা যাননি। সেখানে মা-বোনদের ওপর অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে। তাই সেখানকার মা-বোনেদের প্রতীক হিসাবে রেখা পাত্রকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। “”কীর্তি আজাদ এবং শত্রুঘ্ন সিনহা দুজনেই কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। এমন কথা বলার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে বেলাগাম মন্তব্য করে বসলেন। “”তিনি (কীর্তি আজাদ) যে দিদির হাত ধরে এসেছেন, তার পা টলছে।তাকে তার বাড়ির লোকেরাই ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ।বাংলার লোক কখন ধাক্কা মারবেন উনি বুঝতেই পারবেন না। বাংলা নিজের ভাইপোকেই চাই। মুখ্যমন্ত্রী গোয়াতে গিয়ে বলেন আমি গোয়ার মেয়ে, ত্রিপুরাতে গিয়ে বলেন আমি ত্রিপুরার মেয়ে। আসলে উনি আগে বাপ তো ঠিক করুন। যার তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়। “”