দুর্গাপুর, ২২ ফেব্রুয়ারী :দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বিভিন্ন রাস্তায় রয়েছে রোটারির চারপাশে বিভিন্ন রাস্তা বেরিয়ে গেছে। রোটারির সামনের বেশ কিছু রাস্তার বেহাল দশা। আর সেই রোটারি র পাশাপাশি রাস্তাগুলিতে হঠাৎ করে দুর্গাপুরের মানুষ দুর্গাপুরের ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ আধিকারিকদের ঝাঁটা, ঝুড়ি, কোদাল হাতে দেখে অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন। কৌতুহলী মানুষ ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলেন,””কি ব্যাপার স্যার?আপনাদের হাতে ঝাঁটা, ঝুড়ি, কোদাল কেন? “”ট্রাফিক পুলিশ আধিকারিকদের উত্তর “”রাস্তায় জমা বালি,পাথরের কারনে সাধারণ মানুষকে দুর্ঘটনার হাত থেকে মুক্তি দিতে আজ আমরা সাফাই অভিযানে নেমেছি।””
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার দেখভালের অভাবে বেশ কিছু রাস্তার বেহাল দশা।রোটারির আশেপাশের রাস্তায় জমছে বালি,পাথরের টুকরো,খানাখন্দে ভরে গেছে অনেক রাস্তা । আবার কোথাও বাড়ি তৈরির জন্য রাস্তার পাশে বালি পাথর নামানো হলেও তা আর পরিষ্কার করেননি বাড়ির মনিব। আর এতেই স্কুটি, স্কুটার,মোটরবাইক আরোহীরা অর্থাৎ ছোট চাকার যানবাহন চালান যারা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন।দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপে মূলত রাস্তাগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়ী দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের।ঝাঁ- চকচকে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের অনেক রাস্তায় এখন বেহাল দশায় পড়ে আছে। রাস্তার পাথর এবং বালি জমা হচ্ছে রোটারির পাশে রাস্তার বাঁক গুলিতে। ছোট চাকর যানবাহন গুলি এই জমা পাথর ও বালিতে স্কিট করে দুর্ঘটনার মুখে পড়ছে । দুর্ঘটনা কমাতে তাই দুর্গাপুর সাব ট্রাফিক গার্ড অফিসের অফিসার-ইন-চার্জ বিনয় লায়েকের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা সাফাই অভিযানে নামেন। ট্রাফিক পুলিশের হাতে দেখা গেল ঝাঁটা, কড়াই।বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাফিক কর্মীদের এমন রূপ দেখে আপ্লুত শহরবাসী। সুকান্ত দে ও দেবাশীষ ঘোষ জানালেন, “” পুলিশের এই ভালো কাজের প্রশংসা সত্যিই করা উচিত। ট্রাফিক ওসিকে দেখা যাচ্ছে ঝাঁটা হাতে। এটা অত্যন্ত শিক্ষামূলক একটি ঘটনা।এটা দেখে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। “”