দুর্গাপুর, ১১ জানুয়ারি : বুধবার ভর সন্ধায় শরগাছ দিয়ে হাত, পা বাঁধা যুবকের দেহ পড়ে পাথর খাদানে। ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়।তদন্তে পুলিশ। বুধবার ভর সন্ধায় দুর্গাপুর থানার পারুলিয়ার ড্যামপাড়া সংলগ্ন মোরাম খাদানে হাত, পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। মৃত যুবকের মা সীতা ভূঁইয়ার অভিযোগ, “” আমার ছেলে অনিলের হাতে বন্ধু আকাশের নাম দিয়ে ট্যাটু করা ছিল। আর আকাশ ও অনিলের মাঝেমধ্যে বিবাদের ঘটনাও ঘটতো। কিছুদিন আগে আকাশ অনিলের স্মার্টফোন ভেঙে দেয়। সেই রাগে অনিলও তার বন্ধু আকাশের মোবাইল ভেঙে দেয়। তারপর থেকে আকাশ এবং আকাশের দিদি, জামাইবাবু আমাকে বাড়ি বয়ে এসে গালিগালাজ করে। অনিলের বিয়ের ঠিক হতেই আকাশ তাকে বিয়ে না করার জন্য রীতিমত হুমকি দিত। বেশ কিছুদিন আকাশের সাথে অনিলের কথাবার্তাও বন্ধ ছিল। অনিল বিয়ের করার জন্য দিনমজুরের কাজ করে অর্থ সঞ্চয় করছিল। বুধবার সকালে পাথর খাদানে অনিল দিনমজুরের কাজে বের হচ্ছিল। হঠাৎ বাড়িতে হাজির হয় আকাশ। ভুল বুঝিয়ে আকাশকে নিয়ে যায় অনিল। সারাদিন অনিল বাড়ি ফিরে না আসায় সন্ধ্যায় আমি চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখনই খবর আসে রঘুনাথপুর ও পারুলিয়া সংলগ্ন পাথর খাদনে অনিলকে খুন করে ফেলা হয়েছে। এই খুনের পিছনে বন্ধু আকাশ ভূঁইয়া জড়িত “”বলেও মায়ের অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের দুটি হাত শরীরের পিছনে শরগাছ দিয়ে বাঁধা ছিল। দুটি পা বাঁধা ছিল।গলায় কালো কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। মৃতদেহ উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।আকাশ ভূঁইয়ার সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। এই খুনের ঘটনার পিছনে আসল কি কারণ রয়েছে? পুলিশ সূত্রে যেটা জানা যাচ্ছে যে, দীন দরিদ্র পরিবারের এই দুই বন্ধুর মধ্যে একে অপরের মোবাইল ফোন ভাঙ্গা নিয়ে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। সম্ভাব্য তার জেনেই খুন। আপাতত পুলিশ আকাশকে গ্রেফতার করতে পারলেই সব সত্য বেরিয়ে আসবে বলে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার অনিলের দেহ ময়নাতদন্ত হবে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।