দুর্গাপুর, ৬ জুন: ২০২৬- ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু। পিছিয়ে নেই পশ্চিম বর্ধমান। পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক ডাকাবুকো নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা হতেই জেগে উঠেছেন দলের নেতাকর্মীরা। দ্বিতীয়বারের জন্য জেলা সভাপতি হওয়ার পর নরেনের নতুন স্লোগান “নয়ে জয়”। অর্থাৎ পশ্চিম বর্ধমান জেলার নটি বিধানসভা আসনের মধ্যে নটিতেই এবার জয় লাভ করতে চায় তৃণমূল। টার্গেট পূরণ করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন দাপুটে এই নেতা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার নটি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। বাকি তিনটিতে জয়ী হয় বিজেপি।

আসন্ন ছাব্বিশের ভোটে জেলা থেকে এক্কেবারে ফুল মার্কস নিয়ে পাস করতে চায় ঘাসফুল শিবির, সেই লক্ষ্যে দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছেন জেলা সভাপতি। সামাল দিচ্ছেন কর্মীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ। তাদের জন্য নির্দিষ্ট নির্দিষ্ট কাজও বেঁধে দিয়েছেন। আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমার প্রত্যেক ব্লকে সাংগঠনিক কর্মীসভা শুরু করেছে তৃণমূল। দুর্গাপুর ২ নং ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গেও সেই সভার আয়োজন হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সাংসদ কীর্তি আজাদ ঝাঁ, তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং সহ আরও অনেকে। দুর্গাপুর ২ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, এদিনের কর্মীসভা থেকে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ভোট-নির্দেশিকা দেন দলীয় নেতৃত্ব। বুথ ভিত্তিক পর্যালোচনা হয়। ভোটে জয়ের ব্যাপারে তারা সকলেই আশাবাদী। একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে পাড়ায় পাড়ায়, তখন অনেকটাই পিছিয়ে বিরোধীরা। গেরুয়া শিবির এবং সিপিআইএম, তাদেরকে সেভাবে এখনো ভোটকে সামনে রেখে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি।

তবে তৃণমূলের ভোট প্রচারের প্রসঙ্গ উঠতেই পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়েছেন দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোরুই। রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করে তিনি বলেন, আগে দুর্গাপুর কর্পোরেশনের ভোট করাক প্রশাসন। সময় পেরিয়ে গেলেও কর্পোরেশনের ভোট হয়নি, মানুষ হাহাকার করছে, কলকারখানা বন্ধ, জলের সমস্যা, রাস্তাঘাট নেই। পরিষেবা না পেয়ে মানুষ ফুঁসছে। তাই ভোট হলে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে মুছে দেবে বলেই দাবি করেছেন বিজেপির বিধায়ক।ভোটের প্রচারে না হলেও বিজেপির পক্ষ থেকে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যকে সামনে রেখে মিছিল মিটিং দেখা গেছে শহরে। ভোটবাক্সে অপারেশন সিঁদুরের প্রভাব পড়বে কিনা সেকথা সময়ই বলবে। আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে, একদা লাল দুর্গ বলে খ্যাত আসানসোল-দুর্গাপুরে সিপিআইএমকে এখনও পর্যন্ত সেভাবে প্রচারের ময়দানে দেখা যায়নি! কবে শুরু হবে প্রচার? তা এখনও অজানা।