সৌজন্যের রাজনীতির নজির দুর্গাপুরে

দুর্গাপুর, ২৮ ফেব্রুয়ারী : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় গত ২৬ তারিখ বিকালে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামার পরে দুর্গাপুরে এসে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেন।তারপর দিন তিনি পুরুলিয়া সফরে যান।মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো দুর্গাপুরে আসার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত হোর্ডিং, পোস্টার, ব্যানার দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় শহরের বিভিন্ন এলাকা। কিন্তু তারপর বিভিন্ন জায়গায় সেই হোর্ডিং গুলি থেকে গেছে। তার মধ্যে একটি হোর্ডিং উলটে ছিল।আর তা চোখে পড়ে বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

তিনি গাড়ি থেকে নেমে সেই হোর্ডিংটিকে সোজা করে আবার লাগিয়ে দেন। সৌজন্যের রাজনীতির নজির তৈরি করলেন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ মাত্র কয়েকদিন আগেই দেখা গেল এক পক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে চটি, জুতো মারছেন থুঁতু ছেটাচ্ছেন,আবার বিজেপির মহিলা মোর্চার মিছিল শেষে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে জুতোপেটা করছেন মহিলা নেত্রী সহ অনেকেই।এই সংস্কৃতি বাংলার রাজনৈতিক কদর্য এক ছবিকে ফুটিয়ে তোলে। বাঙালি বিশ্ববন্দিত।

রাজনৈতিক লড়াই বেঁচে থাক, মতাদর্শ ভিন্ন ভিন্ন হতেই পারে। কিন্তু বাঙালি প্রকাশ্য রাস্তায় রাজনৈতিক বিরোধিতা চরিতার্থ করতে গিয়ে একে অপরের ছবিতে চটি পেটা করছে, কিম্বা থুঁতু ছিটাচ্ছে এই ছবি বড়ই বেদনাদায়ক। আমাদের কৃষ্টি আমাদের সংস্কৃতি র পক্ষে এই ধরনের কদর্য রাজনৈতিক বিরোধিতা আমাদের হতাশ করে । তাই অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় কে ধন্যবাদ। কারন এই প্রেক্ষাপটে তিনি অন্তত ভুলে যাননি তার শিক্ষা তার রুচিকে।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *