সোনার দোকানের সামনে থেকে ভিন রাজ্যের দুই দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার আগ্নেয়াস্ত্র সহ

বাঁকুড়া,28 জুন: মাত্র কয়েকদিন আগে আসানসোলের রানীগঞ্জে দিনে দুপুরে একটু সোনার দোকানে ভিন রাজ্যের সাতজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী ডাকাতের উদ্দেশ্যে দোকানে ঢুকে লুটপাট চালায়।ওয়ান ম্যান আর্মি হয়ে শ্রীপুর ফাঁড়ির আইসি মেঘনাথ মন্ডল তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাই। এরপর একের পর এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে রানীগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে। এবার বাঁকুড়া সদর থানা এলাকার সেই একই নামের সোনার দোকানের সামনে অস্ত্র সহ ভীন রাজ্যের দুই দূস্কৃতিকে গ্রেফতার করলো বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম অজিত কুমার (৩০) ও রোহিত কুমার রায় (৩১)। দু’জনের বাড়ি যথাক্রমে বিহারের বৈশালী জেলার ইসমাইলপুর-হাজিপুর ও পাটনার দীঘা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া শহরের কাটজুড়িডাঙ্গা মোড় এলাকার একটি সোনার বড় শোরুমের সামনে থেকে ওই দুই দূস্কৃতিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে শুক্রবার পুলিশের পক্ষ থেকে ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিনের পুলিশী হেফাজতের নির্দেশ দেন।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় কাটজুড়িডাঙ্গা একটি নামি সোনা গহনার অলঙ্কারের শোরুমের সামনে সন্দেহভাজন ছ’জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুজনকে ধরে ফেলে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শার্টার বন্দুক, তিনটি কার্তুজ, দু’টি অ্যানড্রয়েড ফোন, একটি ছোটো ফোন, একটি মোটর বাইক সহ বেশ কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করে।

তাহলে এরাও কি ছক কষেছিল ওই সোনার দোকানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে? বাঁকুড়া সদর থানা তৎপরতায় এই যাত্রায় হয়তো বড়সড় ডাকাতির হাত থেকে বেঁচে গেল নামি ওই সোনার দোকানটি।প্রথমে রানীগঞ্জ তারপর হাওড়া এবার বাঁকুড়া সদর। বারবার ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীদের এ রাজ্যের জেলায় জেলায় সোনার দোকানগুলি টার্গেট কেন? আন্ত:রাজ্য সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে পুলিশি নজরদারি কি আরও বাড়ানো উচিত? এতগুলি ঘটনার পর এই প্রশ্ন এসেই দাঁড়িয়েছে এখন।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *