দুর্গাপুর, ১০ মে: দুর্গাপুরে প্রচারের প্রায় শেষে এসে জনসমুদ্রে ভাসলেন টলিউডের মহাতারকা দীপক অধিকারী ওরফে দেব।আর তা দেখেই দেব স্পষ্ট জানালেন, “”আজকে যা লোক দেখলাম তাতে আমার মনে হল আর কোন উপায় নেই দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুরে ফিরে যেতে হবে। “”
বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদেকে সঙ্গে নিয়ে সুসজ্জিত গাড়িতে দুর্গাপুরের বি-জোন নিউটন রোড থেকে শুরু হয় এই র্যালি।দেবের আসার কথা ছিল গতকাল। কিন্তু আবহাওয়া খারাপের জন্য গতকাল হেলিকপ্টার ওড়ানো সম্ভব হয়নি।আজ দেব এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন দুর্গাপুরের মানুষের হৃদয়। অগণিত দেবভক্ত দের ভিড় রাস্তা দুপাশে। নিউটন থেকে স্টিল টাউনশিপের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমার পর এই র্যালি থামে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুর ফুটবল ময়দানে। দেব, কীর্তি আজাদ ছাড়াও এই র্যালি তো উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রাম উন্নয়ন ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। রাস্তার দুপাশে অগণিত মানুষকে দেখা যায় নিজেদের মুঠোফোনে দেবকে বন্দি করে রাখার জন্য হুড়োহুড়ি।এক লহমায় দুর্গাপুর যেন জনসমুদ্রে পরিণত হলো।র্যালি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব জানালেন, “”এত মানুষ দেখে আমার তো দারুন লাগলো। আপনারা তো স্থানীয় সাংবাদিক। আপনাদের কেমন লাগলো?গতকাল আবহাওয়া খারাপের জন্য আমি আসতে পারিনি। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আমাকে আজকে আসার কথা বলেছিলেন। আমিও সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি কালকে না আসতে পারার জন্য মানুষ খুব হতাশ হয়েছেন। তাই আজকে চলে এলাম। এই ভিড় শুধু আমার ভক্তদের নয়। যেসমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা দিন রাত এক করে দলকে জেতাতে চাইছেন তাদের উপস্থিতি। আর এই ভিড় প্রমাণ করছে যেদিন প্রতিদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ছে। ‘” কিন্তু প্রশ্ন উঠল সুপারস্টারের টানে এত মানুষের যে ঢেউ তা বাস্তবে ভোট বাক্সে তাদের পক্ষে আছড়ে পড়বে তো? উত্তর পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আগামী মাসের চার তারিখ পর্যন্ত।।