দুর্গাপুর, ২ মার্চ: সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় সাদা রঙের গাড়ির মালিক কাঁকসার বিরুডিহার বাসিন্দা বাবলু যাদব দুদিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে রবিবার ফের তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ দিনের জন্য সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফের বাবলু যাদবকে চলতি মাসের ৬ তারিখ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এমনটাই খবর আদালত সূত্রে।পানাগড়ে দুর্ঘটনায় হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সেই রাতে সুতন্দ্রাদের গাড়ির সাথে সাদা রঙের SUV মডেলের একটি গাড়ি রেষারেষির কারণেই সুতন্দ্রার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে জানায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী। ঘটনার পর থেকেই ওই সাদা রঙের গাড়ির মালিক বাবলু যাদব ও ওই রাতে তার গাড়িতে থাকা অন্য সঙ্গীরা গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার ৪ দিন পরে আসানসোল -দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের টিম দুর্গাপুরের অন্ডাল থেকে বাবলু যাদবকে গ্রেপ্তার করে।এরপর তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। দুদিন পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন বাবলু যাদবকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার কাঁকসা থানার পুলিশ তাদের নিজস্ব দুটি গাড়ি নিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করে। সেই রাতে সুতন্দ্রাদের গাড়ির সাথে বাবলুর গাড়ি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের গলসি থেকে পানাগড় রাইস মিল মোড় পর্যন্ত এই রেষারেষি চলে বলে বাবলু পুলিশি জেরার জানিয়েছে পুলিশ সুত্রে খবর এমনটাই।কিভাবে কোথায় সুতন্দ্রার গাড়ি উল্টে যায় পুলিশকে তাও দেখাতে দেখা যায় বাবলু যাদবকে। পুলিশি হেফাজতে বাবলুকে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা আর কি কি জিজ্ঞাসা করে কি তথ্য পেলেন? বাবলুর বাকি সঙ্গীরা কারা কারা ছিল? তারা এখনো পর্যন্ত কেও গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের বয়ানের সাথে বাবলুর দেওয়া বয়ান এক হয় কিনা তাও দেখার। আপাতত বাবলুকে ৬ তারিখে তোলা হবে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। তার আগে পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে দুর্গাপুর মহকুমা উপ-সংশোধনাগারে।