দুর্গাপুর, ১৯ মে:: ভাইরাস জনিত রোগের আক্রমণ অব্যাহত দেশজুড়ে। ভোটের আবহে মশগুল সবাই যখন, তখন আমাদের রাজ্যে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতির চোখ রাঙানো শুরু হয়েছে ।নতুন প্রজাতির নাম কেপি-2। আর দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যে এই কেপি-২ আক্রান্তদের পাশাপাশি আমাদের রাজ্যেও হদিশ মিলল এই রোগে আক্রান্তদের। আমাদের রাজ্যে ওমিক্রনের এই নতুন প্রজাতিতে আক্রান্তের সংখ্যা 30 জন ৷ স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বিগত চার মাস ধরে রাজ্যে বহু করোনা পজিটিভ মানুষের জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে । সেখানেই পজিটিভ আসে কয়েকজনের ।
বর্তমানে তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে 30 । বর্তমানে সারা দেশে কেপি-2 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা 272 । সব থেকে বেশি আক্রান্ত আবার সেই মহারাষ্ট্রেই ।
বিশ্বজুড়ে দারুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের নতুন এই সাব ভ্যারিয়েন্ট । আমাদের দেশের মহারাষ্ট্রে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই প্রথম ধরা পড়ে করোনার নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত । এরপর গুটুগুটি সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস । সবাই যখন ভোটের আবহে ব্যস্ত তখন আমাদের রাজ্য পশ্চিম বাংলাতেও এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে । প্রায় 30 জন আক্রান্ত । কিন্তু সকলেই স্থিতিশীল । বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, এই নতুন প্রজাতি নিয়ে নিয়ে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কিছু নেই । এর মারণ ক্ষমতা আছে, তবে বিরাট আশঙ্কার কারণ নেই । একটি মহামারী শেষ হলে এমন বহু প্রজাতিতে ভেঙে যায় । তবে টিকা নেওয়ার দরুন সকলের মধ্যেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে ।
কেপু-২ এ আক্রান্তদের লক্ষণ কি কি??
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানান, করোনার সময় যে যে সমস্যা মানবদেহে দেখা দিত সেইসমস্ত কিছুই এরও লক্ষণ । যেমন – কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, মাথা থেকে শুরু করে সারা শরীরে যন্ত্রণা । চিকিৎসকদের অভিমত সেই পুরানো অভ্যাস ফিরিয়ে আনায় হচ্ছে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচার উপায়।হাত ধোঁয়া, স্যানিটাইজার এর ব্যবহার,জনবহুল এলাকায় মাস্ক ব্যবহার।এখন দেখার এরাজ্যে ওমিক্রনের এই নতুন প্রজাতিকে কতটা রুখে দেওয়া যায়।।