দুর্গাপুর, ২৩ ফেব্রুয়ারী : রাজ্য পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে এবং আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের সহযোগিতায় কাঁকসা থানা এলাকার পানাগড় শিল্পতালুকে নবনির্মিত যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো রবিবার। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার,অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গলসির বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই,দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কাঁকসা ব্লকের বিডিও পর্ণা দে।

তবে এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে আরো একবার স্পষ্ট হলো সরকারি আধিকারিকদের পদমর্যাদা নয় দলীয় নেতা হলে মঞ্চ আলো করে বসার সুযোগ মিলবে। আর সেরকম একটি “”লজ্জাস্কর”ছবিকে ঘিরেই দেখা দিল বিতর্ক।বর্ষিয়ান সিপিআইএম নেতা বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী বলেন,””প্রশাসনিক আধিকারিকরা জায়গা পাচ্ছেন না আর মঞ্চ আলো করে বসে আছেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় এক নেতা পল্লব বন্দোপাধ্যায়। জেলার আরও এক শ্রমিক নেতাও মঞ্চ আলো করে বসে আছেন।বেচারা!বিডিও পর্না দে এক কোনায় দাঁড়িয়ে শুনছেন মন্ত্রীর বক্তব্য। গণতন্ত্রের এক চরম দৈন্যদশা। মন্ত্রী উপস্থিত যেখানে সেখানে এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এটাতেই প্রমাণিত হয় যে আজ এ রাজ্যে দল তন্ত্র চলছে। “”প্রতিবাদে সোচ্চার হতে শোনা গেল বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইকেও,””নতুন করে এ নিয়ে আর কি বলব।তবে খারাপ লাগছে যে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটলো। এই ছবি অনেক কিছুকে প্রমাণ করে। আসলে গোটা রাজ্যটাই এখন ডামাডোল চলছে। কেউ কাউকে মানে না।”
মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বক্তব্য রাখছেন ঠিক সেই সময় এই ছবিটা দেখা যাচ্ছে কাঁকসার বিডিও পর্ণা দে এক কোনায় দাঁড়িয়ে। অথচ উদ্বোধনের জন্য যে ব্যানার লাগানো হয়েছে তাতে কিন্তু কোথাও তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় এই অনুষ্ঠানের অতিথি এমন কথা লেখা নেই। যেখানে কিন্তু স্পষ্ট করে লেখা আছে কাঁকসার বিডিও পর্না দে র নাম।তাহলে মন্ত্রী চোখের সামনে কেন এমনটা হল? জেলার আরও এক মন্ত্রীর “”ঘনিষ্ঠ “”বলেই কি মঞ্চ আলো করে বসে থাকলেন কাঁকসার ওই স্থানীয় তৃণমূল নেতা? তবে এই ছবি যে অত্যন্ত “”দুর্ভাগ্যজনক””এমন আখ্যা দিতে ভুলছেন না বিরোধীরা।