দুর্গাপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারী : সন্দেশখালীর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। শাসক -বিরোধী তরজা একেবারে তুঙ্গে। এখনো পর্যন্ত অধরা সন্দেশখালি ঘটনার মূল পান্ডা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। উত্তপ্ত সন্দেশখালি এখন এ রাজ্যের “”রাজনৈতিক ইস্যু “”।আর সেই সন্দেশখালীর ঘটনার প্রতিবাদে এবার দুর্গাপুরে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের প্রতিবাদ মিছিল, পথ অবরোধ। দুর্গাপুর থানা এলাকার রঘুনাথপুর থেকে পারুলিয়া যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। সন্দেশখালি তে নারীদের ওপর নির্যাতন এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসমূলক কাজ করেছে তৃণমূল এই অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তারা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে জলে অবরোধ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। পুলিশের হস্তক্ষেপে ওঠে অবরোধ। বিজেপি নেতা বিকাশ সিং বলেন,”দ্রুত সন্দেশখালীর ঘটনার মাস্টারমাইন্ড শাজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে হবে। সন্দেশখালীর মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে বলেও দাবি তোলেন।”পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখার্জি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন “”ওরা ঝামেলার পার্টি। সব জায়গায় ঝামেলা তৈরি করার চেষ্টা করছে। সন্দেশখালিতেও প্ররোচনা তৈরি করে অশান্তির বাতাবরণ ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশের বহু জায়গায় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা ঢুকতে পারছেন না বলে সাধারণ মানুষ অনেক কথা জানতে পারছেন না। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের এবং সাধারণ মানুষের কোন স্বাধীনতা নেই। এই রাজ্যে অবাধ গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা আছে আর তা সম্ভব হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। বিজেপি ২০২৪ সালে দেশ থেকে বিদায় নেবে তারপর দেখবেন বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে ট্রলারে করে টাকা বের হচ্ছে।”” সন্দেশখালির ঘটনাকে নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা একেবারে তুঙ্গে। সেই ঘটনার রেশ এবার এসে পড়ল শিল্পশহর দুর্গাপুরে।গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হলো শেখ শাহজাহান সহ সমস্ত অপরাধীরা যতদিন পর্যন্ত না ধরা পড়ছে ততদিন তাদের আন্দোলন চলবে।